সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: গাছ কাটা নিয়ে বিবাদ, তার জেরে বৌদিকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল দেওর। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গোপালনগর থানার হাটখোলা কলনীপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ফুলমালা কীর্তনীয়া (৪৬)।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, আম গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বৌদিকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে দেওর অমর কীর্তনিয়া। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত দেওর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয় একটি কুড়ুল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় ভাই সমীর কীর্তনিয়া ভিন রাজ্যে কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী ফুলমালা কীর্তনীয়া বাড়িতে একাই থাকতেন। দেওর অমর কীর্তনীয়াও ভিনরাজ্যে কাজ করতেন। অভিযোগ, বাড়ি আসলেই সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে সমীরের পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা করত অমর৷ এদিন সকালে বড় ভাই সমীরের ঘরের সামনে একটি আমগাছ কাটতে যায় অভিযুক্ত অমর। গাছ কাটতে বাধা দেয় বৌদি। গাছ থেকে নেমেই বৌদিকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কুড়ুল দিয়ে কোপ দিতে থাকে অমর। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বৌদি। চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশপাশের প্রতিবেশীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গোপালনগর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অমর ও তাঁর মা সারথী কীর্তনীয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতিবেশী সুভাস বিশ্বাস, নুপুর বিশ্বাসদের অভিযোগ, অভিযুক্ত অমর কোথায় থাকে কেউ জানে না। দুমাস-তিনমাস অন্তর বাড়ি আসে। বাড়িতে এসেই ওই বাড়ির জমি ভাগাভাগি নিয়ে বড় ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা করে। এই নিয়ে এলাকার গ্রামবাসীরাও অনেক বার মীমাংসা করে দিয়েছে। তারপরও বাড়িতে ঝামেলা করত। অভিযুক্তর মা ও বোন দুনের মদতে এই খুন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ।