আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৯ জুলাই: জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন পকসো মামলায় অভিযুক্ত বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। সংশোধনাগারের ভেতরে থাকা হাসপাতালের শৌচালয় থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করলো জেল পুলিশ। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্ত হয় মৃত বন্দির।
সংশোধনার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বন্দি সদর ব্লকের বাসিন্দা। বয়স ৭৫ বছর। জুলাই মাসের ২ তারিখ থেকে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছে ওই বন্দি। যদিও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় জেল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলেননি৷
কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃতদেহ সংশোধনাগারের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। ৩০ জুন নবম শ্রেণির এক ছাত্রী পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেদিনই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শৌচাগারে ওই ছাত্রী এক সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। এরপরেই ছাত্রী ঘটনার জন্য বিচারাধীন বন্দি তথা দাদুকে দায়ী করেছিল। অভিযোগ পেয়ে মহিলা থানায় পুলিশ অভিযুক্ত দাদুকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এখনও রিপোর্ট আসেনি।
মৃত বন্দির প্রতিবেশী শুভাশিস মজুমদার বলেন, “আমি দীর্ঘদিন থেকে মৃত বৃদ্ধকে চিনি। তার স্বভাব চরিত্র ভদ্র। এই ধরনের ব্যক্তির বিরুদ্ধে যখন নিজের মেয়ের ঘরের নাতনি জঘন্যতম অভিযোগ তোলে তখন তা মেনে নেওয়া কঠিন। ফলে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। খাওয়া দাওয়া ছেড়ে অসুস্থ হয়ে ৭ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রবিবার হাসপাতালে থেকে ছাড়া পান। তার পরে আবার সংশোধনাগারে ভেতরে থাকা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপরেই মর্মান্তিক ঘটনা।”
মৃত বন্দির আত্মীয় জগদীশ রায় বলেন, গতকাল রাতে তাদের খবর দেওয়া হয় সংশোধনাগারের হাসপাতালের শৌচালয়ের ভেতরে গামছায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এতো নিরাপত্তা থাকার পরেও কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ তুলে আইনের দ্বারস্থ হবে বলে জানান তিনি।”
জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে বলেন, “সংশোধনাগার থেকে এক বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া মেনে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।”