হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে প্রকাশ্য সমাবেশ করবে সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্ট

আমাদের ভারত, ১১ এপ্রিল: হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে প্রকাশ্য সমাবেশ করবে সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্ট। ৪ মে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে প্রতিবাদ সভা ও মহামহিম রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।

এ কথা জানিয়ে সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি শঙ্কর মণ্ডল বলেছেন, “এই কর্মসূচিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু নেতাদের ও মঠ, মন্দিরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। এই কর্মসূচিতে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রদীপ্তানন্দজী মহারাজ (কার্তিক মহারাজ)।”

শঙ্করবাবুর কথায়, “আগামী দিনে এটাকে বাংলাদেশের মত হিন্দু শূন্য বানাবার পরিকল্পনা চলছে, আর বাংলাদেশের মত হিন্দুরা চোখে বামপন্থার চশমা ও কানে তুলো গুঁজে থেকে এবং নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন জাত পাতের বিভাজনের মাধ্যমে ক্রমশ দুর্বল হবে। এই মুহূর্তে সমস্ত হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং এই রাজ্যকে হিন্দু শূন্য করার চক্রান্ত রোধ করতে হবে।

অন্যদিকে আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়ে যে, আইনগত অপরাধ করেছে, তাতে অভিযুক্তকে কেবল দলীয় পদ থেকে সরালেই কি অপরাধের শাস্তি হয়? হয় না, এক্ষেত্রেও আদিবাসীদের বিভিন্ন কমিটিকে ওখানে ওদের সঙ্গে কথা বলতেই দেয়নি।ঠিক যেমন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে রামনবমীর মিছিল সংক্রান্ত হামলা নিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পুলিশ অন্যায়ভাবে বাধা দিল। এই পুলিশ যে কোনও অবরোধ তো দূরের কথা, একটা প্রতিবাদ মিছিল পর্যন্ত করতে দেয় না। অথচ এই পুলিশ চার পাঁচদিন ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে কুড়মি সম্প্রদায়ের একটি আন্দোলনের নামে জাতীয় সড়ক ও রেল লাইনে অবরোধ, যা থেকে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। আর অস্ত্র হাতে মিছিল যদি সম্পূর্ণ বেআইনি হয়, তাহলে পুলিশ কি করে ওখানে তীর ধনুক, বল্লম ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে মিছিলকে হতে দিয়েছে?

ঠিক যেমন কিছুদিনের মধ্যেই এই রাজ্যে মহরমের মিছিল হবে, সেখানে বেপরোয়া অস্ত্রের ঝলকানি দেখতে পাওয়া যাবে, আর সেই মিছিলকে পুলিশ উপস্থিত থেকে সম্পন্ন হতে দেবে এবং মাঝে মাঝে বেশ কিছু জায়গায় হামলাও করবে। অন্তত পূর্বের অভিজ্ঞতা তাই বলে। তাহলে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করায় অধিকার কেবল হিন্দুদের জন্যই বেআইনি, তাই তো? এই সমস্ত ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *