Modi, BJP, “দুর্গাপুজোর জন্য ইউনেস্কো স্বীকৃতি এনেছে কেন্দ্র এবার ছট পুজোর জন্য আনবে,” মন কি বাত -এ দাবি মোদীর, শুরু তর্জা

আমাদের ভারত, ২৮ সেপ্টেম্বর: বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো। সেই পুজোর নানা বৈচিত্র ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের তকমা এনে দিয়েছে। এই স্বীকৃতি আনা নিয়ে এবার শুরু হলো তর্জা। বিহারের ছট পুজোর জন্যেও এক রকম ভাবে স্বীকৃতি আনার কাজ চলছে বলে মন কি বাত অনুষ্ঠানে জানান প্রধানমন্ত্রী। আর তাতেই শুরু হয়েছে আলোচনা।

নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, কেন্দ্রের লাগাতার প্রচেষ্টাতেই এই সাফল্য এসেছে। যার বিরোধিতায় পাল্টা বক্তব্য উঠে এসেছে।

রবিবারের মানকি বাত অনুষ্ঠানে মূলত ভোটমুখী বিহারের দিকে তাকিয়েই বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিহারের ভোটের আগে বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেছেন, বিহারী ছট পুজোকে যাতে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ- এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় তার কাজ করছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ছট পুজো শুধু ভারতের নানা প্রান্তে নয়, গোটা বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হয়। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই প্রাচীন সংস্কৃতি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পায়।

এই প্রসঙ্গে দুর্গা পুজোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের কথা উল্লেখ করেন তিনি। মোদী দাবি করেন, বাংলার দুর্গা পুজোকে স্বীকৃতি এনে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্র সরকারের লাগাতার প্রচেষ্টা। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ভারত সরকারের এই প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ কলকাতার দুর্গা পুজো ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এদিকে বাঙালির সেরা উৎসবকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দান নিয়ে গর্ব করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের দাবি, তাদের আয়োজিত বিসর্জন কার্নিভাল উৎসবের জৌলুস বাড়িয়েছে। শারদ উৎসবকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে গেছে। তাই ইউনেস্কোর তরফে বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের শিরোপা পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব বার বার এর জন্য মোদী সরকারের কৃতিত্ব দাবি করেন।

তবে আজ মন কি বাত অনুষ্ঠানে আরো একটা বিষয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ২ অক্টোবর অর্থাৎ বিজয়া দশমীর দিন ১০০ বছর পূর্ণ করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। এর জন্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটিকে অভিনন্দনের পাশাপাশি কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আর কয়েকদিন পরেই বিজয়া দশমী উদযাপন করব। এবারে বিজয় দশমী আরও একটি কারণে বিশেষ। এই দিনেই আরএসএস প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্ণ করবে। নিঃস্বার্থ সেবার মনোভাব এবং শৃঙ্খলার পাঠ হলো সংঘের আসল শক্তি। সংঘের অগণিত স্বেচ্ছাসেবকরা দেশের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। মোদি বলেন, গত ১০০ বছর ধরে অক্লান্তভাবে জাতির সেবায় নিযুক্ত আরএসএস। এই কারণে যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে, অথবা দুর্ঘটনা ঘটে সেই স্বয়ং সেবকরা গিয়ে সেখানে উপস্থিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *