আমাদের ভারত, ২৯ মে: তৃণমূল সরকারের এই রাজ্যে বেকার সমস্যা সমাধানের চিন্তা ভাবনা নেই। দেশের অন্যান্য সরকারের মতো পেট্রোলের দাম কমানোর বিষয়ে চেষ্টা করছে না রাজ্য সরকার। বরং এই সব জলন্ত ইস্যু থেকে চোখ ঘোরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করার মতো ইস্যুতে জোর করে প্রাধান্য দিয়ে তুলে আনা হয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির মতে রাজ্যে একাধিক জলন্ত সমস্যা রয়েছে। সেই সব সমস্যাগুলো নিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত বা আলোচনা কোনোটাই হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের স্বার্থের সেই সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলিকে বাদ দিয়ে বিশ্ব বিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী সেই বিষয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য ইস্যুতে তিনি বলেছেন, “এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার যে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই হঠাৎ করে এই ইস্যুকে সামনে আনা হচ্ছে। অথচ রাজ্যের হাজার হাজার বেকার যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে কাজের খোঁজে। বেকারদের কাজের ব্যবস্থা না করে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কে হবে সেটা নিয়ে যখন রাজ্য সরকার মাথা ঘামাচ্ছে এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য অন্য কিছু রয়েছে।” তিনি বলেন, আগে রাজ্যের হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীদের কাজের ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার।
আন্তঃ শুল্কে ছাড় দিয়ে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই দাম কমিয়েছে পেট্রোলের। কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলিকেও ভ্যাট কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। সেই মতো বেশকিছু রাজ্য ভ্যাট কমিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সেই পথে এগোয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। তার বদলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন কে তা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পেট্রোলের দাম সব রাজ্য সরকার কমিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার কমায়নি। তাদের উচিত আগে সেই বিষয়ে ভাবার তারপর ঠিক করুক কে আচার্য হবে কে উপাচার্য হবে। এই সমস্যাগুলো নিয়ে আগে আলোচনা করুক তারপর মন্ত্রিসভার রেজিলিউশন করুক মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বানাবেন কিনা।”