Gold, Bankura, BJP, বাঁকুড়ায় মাটির তলায় সোনার খনি! বিরাট তথ্য উঠে এলো জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায়, জানালেন বিজেপি সাংসদ

আমাদের ভারত, ১৮ ডিসেম্বর: বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটির দুর্লভপুর এলাকাতে মাটির নিচে রয়েছে তাল তাল সোনা। সাম্প্রতিক কেন্দ্র সরকারি সমীক্ষায় মিলেছে তেমনই আভাস। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথা জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই তথ্য সামনে আসার পরেই জেলার উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়ে মানুষের মধ্যে নতুন করে আশা তৈরি হয়েছে।

বেশ কিছুদিন আগে বিজেপি সাংসদ সার্ভে করার জন্য আবেদন জানান। তার প্রেক্ষিতে রাজ্যসভায় খনিজ মন্ত্রকের তরফে লিখিত উত্তর দেওয়া হয়। সেই জবাবের সঙ্গে যুক্ত ছিল জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট। সেই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ২০২২- ২৩ অর্থবর্ষে বাঁকুড়া জেলার দুর্লভপুর, গঙ্গাজলঘাঁটি এলাকায় জি-ফোর পর্যায়ে খনিজ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এই সমীক্ষার মূল লক্ষ্য ছিল মাটির নিচে সোনার উপস্থিতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।

ইউ এন এফ সি শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, জি ফোর পর্যায় হলো খনিজ অনুসন্ধানের একেবারে প্রাথমিক ধাপ। এই পর্যায়ে কোনো এলাকায় খনিজ থাকার প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কিন্তু সেখান থেকে সরাসরি খনন বা বাণিজ্যিক উত্তোলন শুরু করা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ সফল হলে ভবিষ্যতে আরো বিস্তারিত অনুসন্ধান যেমন জি-থ্রি, জি-টু পর্যায়ের পথ খুলে যায়। অর্থাৎ বাঁকুড়ায় জি ফোরের পরের পর্যায়ের সমীক্ষা শুরু হবে শীঘ্রই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সৌমিত্র খাঁ লিখেছেন, আমার জন্মভূমি বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের ছোট্ট গ্রাম দুর্লভপুর। শুধু বড় নেতা হলেই হয় না, নিজের ব্লকে নিজের গ্রামে কী আছে সেটাও সার্ভে করে জেনে নিতে হয়। আমি অনেকদিন আগে এটা সার্ভে করার জন্য দিয়েছিলাম। আজ তার স্বাদ পেলাম। আজ সত্যিই গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, আমাদের এই দুর্লভপুর গ্রামে সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবেগতাড়িত হয়ে সাংসদ আরো লিখেছেন, ভাবতেই অবাক লাগে। যে গ্রামে আমার শৈশব স্মৃতি আর শিক্ষা, সেই গ্রাম আজ দেশের মানচিত্রে। সম্ভাবনার নতুন আলো হয়ে উঠেছে। ছোট্ট, শান্ত, মাটির গন্ধ মাখা এই দুর্লভপুর আজ প্রমাণ করে দিল, গ্রামের পরিচয় শুধু সাধারণতায় সীমাবদ্ধ নয়। এখানেও লুকিয়ে থাকে অমূল্য সম্পদ, অপার সম্ভাবনা ও গৌরবের ইতিহাস। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, এই সবটাই মা সারদা ও বাবা ষাঁড়েশ্বরের আশীর্বাদ। তাদের কৃপায় আমার জন্মভূমি আজ সম্মানের আসনে জাতীয় স্তরে স্বীকৃতির পথে।

তাঁর কথায়, দুর্লভপুর শুধু আমার গ্রাম না, এ আমার অহংকার। আমার শিকড়। আমার আত্মপরিচয়। গর্ব হয়, দুর্গাপুরের সন্তান হয়ে। গর্ব হয়, গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের মানুষ হয়ে। গর্ব হয়, বাঁকুড়া জেলার সন্তান হয়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩ টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনটি, নদিয়ায় একটি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঁচটি খনন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। ওএনজিসি’র হিসেব অনুযায়ী, অশোকনগরের অয়েল ফিল্ড থেকে দিনে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত সোমবার রাজ্যসভায় বিষয়টি তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হার্দিক সিং পুরি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের চিঠি আদান প্রদান হয়েছে।অশোকনগরে যে পরিমাণ তেল রয়েছে তার বাজার মূল্য প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। কবে থেকে তেল উত্তোলন শুরু হবে, তা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *