আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৪ নভেম্বর: নিজের ভাইপো’কে মৃত সাজিয়ে জীবন বীমার ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে শনিবার উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ অনুপ দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল। ধৃত ব্যক্তি জীবন বীমা উপভোক্তার কাকা। ধৃতকে রবিবার উলুবেরিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানাগেছে, বছর চারেক আগে আমতা থানার উদং জেলেপাড়ায় বাসিন্দা অনুপ দাস নিজের ভাইপো সৈকত দাসের নামে দুটি জীবন বীমার পলিসি করান। পলিসি দুটিতেই নমিনি হিসাবে নিজের স্ত্রী শ্যামলী দাসের নাম লেখান। অভিযোগ, দুটি পলিসি চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় অনুপ দাস জীবন বীমার টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেন। সেইমতো স্থানীয় এক চিকিৎসককে দিয়ে নিজের ভাইপোর ডেথ সার্টিফিকেট বার করেন এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে সে ব্যাপারে লিখিয়ে আনেন। পরে এক এক করে দুটি জীবন বীমার পলিসি জমা দিয়ে ডেথ ক্লেম বাবদ দশ লক্ষ টাকা তুলে নেন।
এদিকে জীবন বীমা আধিকারিকরা শ্যামলী দাসের নামে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন জীবন বিমার বিভিন্ন শাখায় একাধিক পলিসিতে শ্যামলী দাস নমিনি হিসেবে আছে। এরপরই তাদের সন্দেহ হওযায় সৈকতের এজেন্টকে সৈকতের সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে বলেন জীবন বীমা আধিকারিকরা। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় সৈকত জীবিত আছে এবং প্রমাণ স্বরূপ সে জীবন বিমার উলুবেড়িয়া শাখা অফিসে আসেন।
অন্য ভুয়া নথি জমা দিয়ে জীবন বীমার টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেন আধিকারিকরা। খোঁজখবর করে দেখা যায় অভিযুক্ত অনুপ দাস এবং শ্যামলী দাস একাধিক শাখা থেকে এইভাবে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে। এরপর অভিযুক্তকে ধরতে শনিবার জীবন বীমা আধিকারিকরা তাকে উলুবেড়িয়া শাখায় ডেকে পাঠায় পরে শনিবার অনুপ দাস আসলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তোকে জিজ্ঞাসা করে এই চক্রে কারা কারা জড়িত, কত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করার পাশাপাশি যে চিকিৎসক ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন তার খোঁজ করা হবে।