ISKCON, Bangladesh, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার রুখতে রাষ্ট্রপুঞ্জের পিস কিপিং ফোর্সের প্রয়োজন, বললেন ইসকন সন্ন্যাসী রাধারমন দাস

আমাদের ভারত, ৮ ডিসেম্বর: লাগাতার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার রুখতে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ চাইলেন ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার স্বার্থে রাষ্ট্রপুঞ্জের পিস কিপিং ফোর্স- এর প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করেছেন তিনি।

ইসকনের সন্ন্যাসীদের উপর হামলা, ইসকনের মন্দিরে আগুন ধরানো, ভাঙ্গচুরের ঘটনার অভিযোগ উঠে চলেছে লাগাতার। বাংলাদেশে ইসকন সফট টার্গেট হয়ে উঠেছে বলে দাবি অনেকেরই। এই নিয়ে কলকাতা ইসকন শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০২১- সালেও দুর্গা পুজোর সময় একাধিক মন্ডপে হামলা চলেছিল বাংলাদেশে। ভাঙ্গচুর করা হয়েছিল দুর্গা মূর্তি। নোয়াখালিতে পুকুরে ভেসে উঠেছিল ইসকনের সন্ন্যাসীর মৃতদেহ। সেই সময় আমি নিজেই রাষ্ট্রপুঞ্জে একটি চিঠি লিখেছিলাম। জানিয়েছিলাম হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপুঞ্জের পিস কিপিং ফোর্সের প্রয়োজন। রাষ্ট্রপুঞ্জের টিম থাকলে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে হিন্দুরা সেখানে হয়তো কিছুটা সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।

মহম্মদ ইউনুস সরকারের আমলে ইসকনকে টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্টের। তিনি বলেন, ইসকনকে আলাদা করে টার্গেট করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তকমা দেওয়া হচ্ছে। স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, ইসকনের সদস্যদের ও ভক্তদের অপহরণের পর খুন করা হবে।

তিনি বলেন, জানিনা কেন মৌলবাদীদের নিশানায় রয়েছে ইসকন। অথচ আমরা দিনরাত সেবামূলক কাজ করি। একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তির উদাহরণ টেনে রাধা রমন দাস বলেন, স্টিভ জোভস থেকে শুরু করে তুলসী গাবার্ড, হেমা মালিনী সকলেই ইসকনের ভক্ত। স্টিভ জোবস ছেলেবেলায় আর্থিক অনটনে ভুগতেন। খাবারের জন্য পয়সা ছিল না। তখন সাতমাইল হেঁটে ইসকনের মন্দিরে গিয়ে পেট ভরে খেতেন। অ্যাপেল সংস্থা প্রতিষ্ঠার সময় ইসকন তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। হেমা মালিনী সম্প্রতি সংসদে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন তিনি ইসকনের একনিষ্ঠ ভক্ত। তাঁর মুখে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র শুনেছি। তবে তারাও কি সন্ত্রাসবাদী? কোভিড কালে ইসকনের তরফে বিশ্বজুড়ে খাবার বিতরণ করা হয়েছিল। সেবামূলক কাজের কথা স্মরণ করিয়ে রাধারমন দাস বলেন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শুরু করে কোভিড পরিস্থিতি সর্বত্রই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসকনের সন্ন্যাসীরা। তার জন্য আমাদের বহু সদস্যের প্রাণও গিয়েছে। সেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত এমন একটি সংস্থাকে কি সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়া যায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *