আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১৭ জুলাই: রাজ্য সরকার উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ না করলেও ৪৯৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সম্ভাব্য পঞ্চম স্থান অধিকার করল জেলাসদরের অন্যতম পরিচিত ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অধিরাজ কার্জি। কলকাতা থেকে প্রায় ৭৫০কিমি দূরের প্রত্যন্ত আলিপুরদুয়ার জেলার এই সাফল্য স্বাভাবতই উচ্ছ্বাসিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে জেলার শিক্ষ্যানুরাগীমহল।একইসাথে জেলার কামাক্ষ্যাগুড়ি হাইস্কুলের ছাত্র ময়ুখ নন্দী ৪৯৪ নম্বর নিয়ে রাজ্যে সম্ভাব্য ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। পাশাপাশি জেলার মাধ্যমিকে তেমন সাড়া না ফেলতে পারলেও উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া সাফল্য উচ্ছ্বাসিত গোটা জেলার মানুষ।
মাধ্যমিকের ফলাফল জেলাকে হতাশ করলেও উচ্চ মাধ্যমিকে দুই ছাত্রের ফলাফল গর্বিত করল আলিপুরদুয়ারকে। দুই ছাত্রের মধ্যে একজন ম্যাককুলাম হাইস্কুলের অধিরাজ কার্জি।তার প্রাপ্য নম্বর ৪৯৫।অন্যজন কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি হাইস্কুলের ছাত্র ময়ূখ নন্দী।তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। এদিন ফল প্রকাশের পরই মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা পৌঁছে যান অধিরাজের বাড়িতে। আসেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সহ বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। জেলাশাসক মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা অধিরাজের হাতে তুলে দেবার পর পুষ্পস্তবক দিয়ে তার পিতা-মাতাকে অভিনন্দন জানান। মিষ্টিমুখ করান অধিরাজকে। মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে অভিভূত ও আপ্লুত অধিরাজ ও তার পরিবার।জেলাসদরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যপাড়ার বাসিন্দা অধিরাজের বাবা অশ্বিনী কুমার কার্জি রাজ্য পুলিশের এএসআই পদে কাজ করেন। মা ঝর্না দেবী গৃহবধূ। অধিরাজ ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে ভাইরাস নিয়ে চিকিৎসা করতে চায়। নিজের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে অধিরাজ জানান,প্রতিদিন তিনি টানা ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করত।পড়াশোনার পাশাপাশি গান শোনা এবং সঙ্গীত চর্চার প্রতি ঝোঁক।নিজেও ভালো তবলা বাজাতে পারে অধিরাজ। এদিকে ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু বিশ্বাস জানান,অনেক বছর পর অধিরাজের সুবাদে উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করলাম আমরা।”
এদিকেডি কামাখ্যাগুড়ি হাইস্কুলের ছাত্র ময়ূখ নন্দীর বাড়ি কামাখ্যাগুড়ি শান্তিনগরে।বাবা আশিস নন্দী আলিপুরদুয়ার ভাটিবাড়ী হাইস্কুলের শিক্ষক। মা শম্পা দেবী গৃহবধূ।অধিরাজের মত ময়ূখ সঙ্গীতের ভক্ত। পড়াশোনার তার কোনো বাঁধাধরা সময় ছিলনা।যখন ইচ্ছে হত তখনই পড়াশুনা করত।ভবিষ্যতে ময়ূর আইটিআই নিয়ে পড়তে চায়। এই দুই কৃতির পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন উল্লেখ্যযোগ্য ফলাফল করছে। যারমধ্যে ৪৯৩ নম্বর পেয়েছেন পারঙ্গেরপারের মৈত্রী সরকার ও বারোবিশার অনির্বান দাস। ৪৯২নম্বর পেয়েছেন আলিপুরদুয়ার হাইস্কুলের অর্কায়ান চক্রবর্তী।