স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ৩ নভেম্বর:
নিকাশি নালা পরিষ্কারের দাবিতে স্বামী-স্ত্রীর অবস্থান-বিক্ষোভ নদিয়ায়। এতদিন অবস্থান বিক্ষোভে বহু মানুষের সমাগম দেখেছে মানুষ। এমনকি একই দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কিন্তু এবার কোনও রাজনৈতিক দল নয় অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন স্বামী স্ত্রী। আর স্বামী-স্ত্রী অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন নিকাশি নালা পরিষ্কারের দাবিতে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসকের দপ্তরে দীর্ঘক্ষণ তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন।
জানা যায়, কৃষ্ণনগরের বেজিখালি মোরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুশান্ত ঘোষ ও তার স্ত্রী কৃষ্ণা ঘোষ। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই প্রবীণ নাগরিক। তাদের বাড়ির নিকাশি ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। পৌর প্রশাসক এবং মহাকুমা শাসকের কাছে বারংবার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। তাই দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আর থাকতে না পেরে নিজেরাই বেরিয়ে পড়লেন ধর্নাতে। সোজা চলে যান মহকুমা শাসকের দপ্তরে। বসে পড়েন তাদের দাবি নিয়ে। হৈহৈ রৈরৈ কান্ড। কিন্তু দুজন মানুষ সামান্য কি? বরিষ্ঠ নাগরিক। বরিষ্ঠ নাগরিক এরকমভাবে তাদের দাবি নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে ধর্নায় বসেছেন স্বাভাবিকভাবেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সাংবাদিকরাও সেখানে যায়। ঘটনার চাপে পড়ে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক মনিশ ভার্মা সাংবাদিকদের উপর চটে যান। সেরা খবরের সাংবাদিক প্রদীপ
মজুমদারকে হেনস্থা করা হয়। তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। পরিচয় পত্র কেড়ে নেওয়া হয়। এরপরে যখন অন্যান্য সাংবাদিকরা এসে পৌঁছায় তখন তিনি ওই সাংবাদিককে ছেড়ে দেন। এরপর ঘটনা হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই তিনি ওই বরিষ্ঠ নাগরিকদের আশ্বাস দেন। তার আশ্বাস পাওয়ার পরই ওই দুই প্রবীণ নাগরিক ধর্না থেকে উঠে পড়েন।
প্রশাসক অসীম সাহা বলেন, কারো বাড়ি জল নিষ্কাশন পৌরসভার দায়িত্ব নয়। তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতেই পারে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কারো বাড়ির জল বের করার দায়িত্ব সেই বাড়ির লোকের, পৌরসভার নয়।
কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা শাসক মনিশ ভার্মা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অঞ্জনা খালের সংস্কার হচ্ছে না তাই ওই জল বেজিখালি মোরে ওনার বাড়ির মুখে জমা হচ্ছে। এছাড়া বাড়ির সামনে একটা মাংসের দোকান ও একটা মিষ্টির দোকান আছে। তারা ওনার বাড়ির সামনে খালের মধ্যে ময়লা ফেলছে। ২০১৩ সাল থেকে উনি এখনে আছেন। উনি সমস্যা জেনেই এখানে বাড়ি করেছেন।