রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তাহেরপুরের দুই মাধ্যমিকের ছাত্রী

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ২২ মার্চ: রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ দুই মাধ্যমিকের ছাত্রী। তাদের মধ্যে একজনকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনার একমাস পরেও এখনও খোঁজ মেলেনি তাদের। এনিয়ে বর্তমানে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন ওই দুই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা।

নদিয়ার তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা সুরভিস্থানের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী গৌরাঙ্গ গোস্বামী। তার ছোট মেয়ে রিমি গোস্বামী বাদকুল্লা ভুবনমোহিনী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চলতি শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটে থেকে ওই ছাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পরিবারের অভিযোগ। এনিয়ে তাহেরপুর থানায় ৩৬৩/৩৬৫ ও ৩৪ ধারায় অপহরণের মামলা দায়ের হয়েছে।

অন্যদিকে ওই একই এলাকার বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি রঞ্জন দে’র মেয়ে ঋতুজা ওই একই দিন থেকে নিখোঁজ। তারও এবছর ওই একই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।

জানা গিয়েছে, রিমি ও ঋতুজা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তারা একসাথে স্কুলে ও গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তেও যেতেন। ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিলেন রিমি। এরপর সন্ধ্যায় মেয়ে রিমির খুঁজে ঋতুজার বাড়িতে যান পরিবারের সদস্যরা। যদিও সেখানে মেয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি নিখোঁজ হন ঋতুজা। ঘটনার পর থেকেই তাদের দু’জনের ফোন সুইচড অফ। ঘটনার পর থেকেই মেয়েকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন দুই পরিবারের সদস্যরা। যদিও রিমির পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েকে অপহরন করে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য ঋতুজার পরিবারের সদস্যদের দায়ী করা হয়েছে।

রিমির বাবা গৌরাঙ্গ গোস্বামী বলেন, ওরা দুজনে ভালো বন্ধু ছিল। ঘটনার দিন গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পড়তে যাওয়ার নাম করে মেয়ে ওদের বাড়িতে গিয়েছিল তারপর থেকেই মেয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাহেরপুর থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি আমরা চাই অবিলম্বে মেয়েকে খুঁজে দিকে পুলিশ।

অন্যদিকে নিখোঁজ ছাত্রী ঋতুজার ঠাকুমা অর্চনা দে বলেন, আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। কারণ ওই দিন থেকে আমার নাতনি ঋতুজাও নিখোঁজ আমরাও বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে। আমরাও চাই নাতনি ফিরে আসুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *