আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১৯ নভেম্বর: বিল্ডিং তৈরি করার প্ল্যান পাশ করিয়ে দেওয়ার নাম করে এক লক্ষ টাকার নেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি পুরসভার এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সহ দু’জনের বিরুদ্ধে। মে মাসে দুই দফায় এক লক্ষ টাকা নিয়েও বিল্ডিং তৈরীর প্ল্যান পাশ করানো হয়নি বলে অভিযোগ ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক পরিবারের। এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানা ও পুরসভায় অভিযোগ করে টাকা ফেরতের দাবি করল ওই পরিবার। নতুন বিল্ডিং তৈরি করার জন্য তিন নম্বর ঘুমটি এলাকায় শকুন্তলা মিত্র পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। বিল্ডিং তৈরীর প্ল্যান পাশ করার দায়িত্বে থাকা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মধুশ্রী দাসের সঙ্গে পরিচয় হয় শকুন্তলা দেবীর।
শকুন্তলা দেবীর মেয়ে রোশনি মিত্র বলেন, “মধুশ্রীর মাধ্যমে দুজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। দুবার তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। তাদের হাতে এক লক্ষ টাকা দেওয়া হয় মে মাসে। এরপর যোগাযোগ করলেও তারা ফোন ধরেন না। প্ল্যান পাশের কাগজ দেননি। এই ঘটনায় থানার দ্বারস্থ হয়েছি।”
এদিকে অভিযুক্ত জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মধুশ্রী দাস বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ। আমি দুই জনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। টাকা পয়সার লেনদেনর বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে পুরসভা আমাকে শোকজ করেছে কি কারণে সেটা বুঝতে পাচ্ছি না।”
এদিকে বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী সাংবাদিক বৈঠক করে এ দিন বলেন, “জলপাইগুড়ি পুরসভা দুর্নীতির আঁতুর ঘর। বিল্ডিং তৈরীর প্ল্যানের নাম করে পুরসভার কর্মী এক লক্ষ টাকা নিয়েছেন শকুন্তলা দেবীর কাছ থেকে। এদের বিরুদ্ধে আশাকরি পুরসভার চেয়ারম্যান আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
এদিকে পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন, “বাড়ির প্ল্যান পাশ করতে হলে সবটাই অন লাইনে হয়। এখানে পুরসভার কাউন্সিলর ও চেয়ারম্যানের দরকার নেই। যিনি অভিযোগ করেছেন পুরসভায় অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখা হবে।”