সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ১২ মে: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একই দিনে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমায় দু’জনের শরীরে মিলল করোনার অস্তিত্ব। সংক্রমিতদের বাড়ি চলছে স্যানিটাইজেশনের কাজ। সোমবার রাতে গোপালনগর থানার শুভরত্নপুর এলাকায় এক যুবকের শরীরে করোনা পজেটিভের খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে বনগাঁর প্রশাসন ও স্বাস্থ্য আধিকারিকের পক্ষ থেকে তাকে বেলেঘাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবক কলকাতার একটি নার্সিংহোমে কর্মরত ছিল। ৯ তারিখে কলকাতা থেকে গোপালনগরের বাড়িতে ফিরেছিল৷ এরপর শারীরিক ভাবে সে অসুস্থ বোধ করলে আত্মীয়রা তাকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়৷ সোমবার তার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয়রা জানিয়েছে, সে গোপালনগরের বাড়িতে এসে দুদিন বাজার করেছে ও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরেছে। এমনকি আত্মীয়দের বাড়িও গিয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার রাতেই তাকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যুবকের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে ল থাকার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এদিন বিকেল থেকে দমকল বাহিনী দিয়ে ওই যুবকের বাড়ি স্যানিটাইজ করা হয়।
পাশাপাশি গোবরডাঙ্গা থানা এলাকার এক মহিলা পুলিশ কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে সে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে কর্মরত। দিন কয়েক আগে সে সর্দি কাশি জ্বর নিয়ে ভুগছিলেন। রুটিন মাফিক ওই মহিলা পুলিশ কর্মীর লালা রস পরীক্ষা করান। সোমবার রাতে তার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসে৷ কলকাতার একটি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুই আগে ওই পুলিশ কর্মী বাড়িতে এসেছিল। তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন তারপর থেকে কলকাতাতেই রয়েছেন।