উচ্চ মাধ্যমিকে দশম জলপাইগুড়ির দুই কৃতী সময়িতা দাশগুপ্ত ও সুচেতনা জানা

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৪ মে: জলপাইগুড়ি শহরের সুনীতিবালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের জোড়া সাফল্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়। দুই ছাত্রী ৪৮৭ পেয়ে রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান অর্জন করল। খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

জলপাইগুড়ি থানা মোড়ের বাসিন্দা সময়িতা দাশগুপ্ত। বাবা জীবনবিমায় কর্মরত। সচ্ছ্বল পরিবার। সময়িতা টেস্ট পরীক্ষায় স্কুলে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। চারজন গৃহ শিক্ষকের কাছে টিউশন নিতেন। মোট নম্বর ৪৮৭, বাংলায় ৯৮, ইতিহাসে ৯৬, ভূগোলে ৯৭, অর্থনীতিতে ৯৮, কম্পিউটার এপ্লিকেশনে ৯৮ নম্বর পেয়েছেন।

সময়িতা বলেন, “আগামীতে ভূগোলে অনার্স নিয়ে পড়ে শিক্ষিকা হতে চাই। আমি রাতে বেশি সময় পড়াশোনা করতাম। পড়াশোনার বাইরে গান শোনা, গান করা ও ছবি আঁকতে পছন্দ করি।”

অন্যদিকে একই স্কুলের রায়কত পাড়ার বাসিন্দা সুচেতনা জানা ৪৮৭ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অর্জন করেছেন। সচ্ছ্বল পরিবার, বাবা ধূপগুড়ি কলেজের অধ্যাপক। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি বাড়িতে ছয়জন গৃহ শিক্ষক ছিলেন। সুচেতনার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯৭, ভূগোলে ৯৮, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৭, সঙ্গীতে ৯৮ নম্বর পেয়েছেন।

সুচেতনা জানা বলেন, “ভালো ফল হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু রাজ্যে দশম স্থান অর্জন করবো এটা ভাবিনি। আগামীতে শিক্ষিকা হতে চাই। গান শোনা ও গান করতে ভালো লাগে। তবে আগামীতে যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে তাঁদের উদ্দেশে বলবো পাঠ্যবই ভালো করে পড়লে খুব ভালো ফল করা যাবে।”

এবছর সুনীতিবালা সদর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২৩৪ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এখনো সকলের ফল জানা যায়নি। তবে দুই ছাত্রী রাজ্যে দশম স্থান অর্জন করায় খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস বলেন, “এই সাফল্যের জন্য স্কুলের শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের জন্য হয়েছে। তবে সকলের উদ্দেশে জানাবো ছাত্রীদের নিয়মিত স্কুলে আসতে হবে। আমাদের ২৩৪ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল এবছর। নিয়মিত ছাত্রী ২২৭ জন। তবে মাঝে করোনার জন্য অন লাইনে ক্লাস হয়েছিল। সেই সময় স্কুলে এসে পড়াশোনার বাড়তি সুযোগ পায়নি ছাত্রীরা। আবার পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে আসছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *