ISF, TMC, Bankura, বাঁকুড়ায় আইএসএফের জেলা কমিটির দুই সদস্যকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৩ জুলাই: দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার পথে আইএসএফ নেতা ও কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আইএসএফের জেলা কমিটির সদস্য জুলকার খান ও নুর মহম্মদ মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই দুই নেতার সঙ্গী আরও দু’জনকেও মারধর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার রাজপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। রাস্তায় মারের পর তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে ফের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

আক্রান্তদের পক্ষ থেকে বুধবার জানানো হয়েছে যে, আইএসএফের ছাত্র সংগঠনের এক কর্মসূচি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে বিষ্ণুপুর থানার বাঁকাদহ এলাকায় যান তালডাংরা থানার আমডাংরা এলাকার আইএসএফের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় রাজপুরের কয়েকজন দলীয় কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বাড়ির পথ ধরতেই দুষ্কৃতীরা দলবল নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের। স্থানীয় আমডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আসানুর খানের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা আইএসএফ নেতাদের তাদের স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে ফের মারধর করে বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে আমডাংরা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে আক্রান্ত আইএসএফ নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করে তালডাংরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।সেখানে আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়।

এবিষয়ে তালডাংরা থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আক্রান্ত আইএসএফ নেতারা।

যদিও তৃণমূল আইএসএফ কর্মীদের উপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তৃণমূল নেতা নিতাই চক্রবর্তী বলছেন, এলাকায় আইএসএফ বলে কিছু নেই। সম্প্রতি রাজপুর এলাকায় একাধিক সাবমার্সিবল পাম্পের যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কয়েক জন অপরিচিত যুবককে স্থানীয় একটি চাতালে বসে থাকতে দেখে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহেই তাদের আটক ও মারধর করে গ্রামবাসীরা। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মারধরের হাত থেকে যুবকদের বাঁচাতে প্রথমে তৃণমূল কার্যালয়ে নিয়ে যায় ও পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *