সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, ১৮ জুলাই: বাঁকুড়ায় মেজিয়া ও গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় বাজ পড়ে মৃত্যু হলো ২ জনের এবং অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৫ ছাত্রী। আজ দুপুরে মেজিয়া ও গঙ্গাজলঘাঁটিতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মেজিয়ায় পৃথক দুটি জায়গায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। অপরদিকে এদিনই গঙ্গাজলঘাঁটির একটি স্কুল চত্বরেও বাজ পড়লে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৫ জন ছাত্রী।
পুলিশ জানিয়েছে, মেজিয়ার ডাং-মেজিয়া গ্রামের বাসিন্দা অজিত মাজি (৪২) এদিন দুপুরে মাঠের কাজ করার সময় আচমকা বজ্রপাত হয়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন অজিত মাজি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মেজিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মেজিয়ারই বেনাবাইদ – শালতোড়া গ্রামে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় বাবলু ওরফে বাউল মন্ডল(৫২)র। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল বাউল। সেইসময় জোরে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির মাঝে আচমকা বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তার।
অন্যদিকে এদিনই গঙ্গাজলঘাঁটির কুস্থলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ঘেঁষে বাজ পড়ে। আচমকা এই বজ্রপাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৫ জন ছাত্রী। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই স্কুলের এক শিক্ষক জানান, এদিন দুপুরে টিফিন চলাকালীন সময়ে প্রবল বৃষ্টি নামে। সেই সময় বজ্রপাত হয় স্কুলের পাশেই। কানফাটা ও চোখ ঝলসানো পরিস্থিতিতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই কানে ভেসে এলো ছাত্র ছাত্রীদের কান্না ও চিৎকার। তা শুনে আমরা বিভিন্ন ক্লাসরুমে গিয়ে দেখি বেশ কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তড়িঘড়ি তাদের অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন গঙ্গাজলঘাঁটি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নিমাই মাজি, কর্মাধ্যক্ষ জীতেন গরাই। জীতেন গরাই বলেন, একজন ছাত্রী সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলছিল। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীরা ঘটনার আকস্মিকতায় ভয় পেয়ে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলে বিপদমুক্ত।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, অসুস্থ পড়ুয়াদের পাশে স্কুল রয়েছে। বাকি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।