সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৭ জুন: শতাধিক বছরের প্রাচীন পিতল নির্মিত দুই রথের সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশন ও ইসকনের রথ ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়া শহরের ব্যাপারীহাট ও চকবাজারের দুই প্রাচীন রথ এক ঐতিহ্য বহন করে চলছে।
শতাধিক বছরের প্রাচীন এই রথ দুটি লোহার কাঠামোয় সম্পূর্ণ পিতল দ্বারা নির্মিত। দুটি রথেই রয়েছে অসংখ্য কারুকার্য। রামায়ণের বিভিন্ন ঘটনা যেমন চিত্রায়িত হয়েছে, তেমনি দশভূজা দেবী দুর্গার একচালা মূর্তিও খোদিত আছে। ব্যপারীহাটের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় অধিবাসীদের উদ্যোগে প্রথম রথের সূচনা হয়। যে কারণে এটি বড় রথ হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে চকবাজারে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় অধিবাসীরা আরো একটি রথ নির্মাণ করেন। এটি ছোট রথ নামে পরিচিত। দুটি রথ প্রায় ৩৪ ফুট উঁচু। দুটি রথ শহরের প্রধান রাজপথ দিয়ে পরিক্রমা করে। আলোকসজ্জায় সজ্জিত সুদৃশ্য এই রথ দেখার জন্য শহরের আবাল বৃদ্ধ বনিতা যেমন মুখিয়ে থাকেন তেমনি দূরদূরান্তের বহু মানুষ হাজির হন।
এই দুই রথের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ মিশনের রথ আলাদা মযার্দা লাভ করেছে। তার সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে ইসকন পরিচালিত রথ। গত তিন বছর এই রথ লালবাজার থেকে যাত্রা শুরু করে রাজগ্রামে পৌছায়। সেখানে ইসকনের মন্দিরে রথ সাতদিন অবস্থান করে।সাতদিন ধরে চলে মেলা উৎসব। গীতা পাঠ, আবৃত্তি, নানা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রথে ব্যাপক জনসমাগম হয়। ভীড় নিয়ন্ত্রণ ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করেছে।ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।দুপুরের পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে যানচলাচল।