অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ৪ ডিসেম্বর:
চার বছরের কন্যাসন্তানকে গলাটিপে খুন করে দড়িতে ঝুলিয়ে দিল মা। তারপর হাতের শিরা কেটে নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনা ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনীতে ঘটেছে।
জানাগেছে, মৃত মহিলার নাম মিতা মন্ডল। মেয়ের নাম দেবলীনা মন্ডল। মৃতের স্বামী বুদ্ধদেব মন্ডল পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। সাঁকরাইলের লাউদহ হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। মূলত তিনি বীরভূমের বাসিন্দা। লাউদহ স্কুলের শিক্ষকতা করার দরুন এখানে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
বুদ্ধদেববাবু জানান, কাল দুপুরে স্কুল থেকে বেরিয়ে তিনি কেশিয়াড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর এক আত্মীয়ের বিয়ের ব্যাপারে পাকাকথার দিন ছিল। স্কুল থেকে বেরিয়ে সেখানে যাওয়ার সময় সাড়ে তিনটে নাগাদ স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। বিয়ের পাকাকথা সেরে কেশিয়াড়ি থেকে সন্ধে ৭.১৫টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরে বার বার স্ত্রীকে ডেকেও কোনো সাড়া পাননি। তখন জানলা দিয়ে দেখেন, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে তাঁর স্ত্রী মিতা মন্ডল ও চার বছরের মেয়ে দেবলীনা।
খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এটি খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে পুলিশ দেখছে। ওই মহিলার হাতের শিরা কাটা ছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান কাল সন্ধ্যা নাগাদ ওই মহিলা তাঁর চার বছরের মেয়েকে গলাটিপে মারেন। কিন্তু মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেন। তারপর নিজে হাতের শিরা কেটে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েন। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।