পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ জানুয়ারি: আন্দোলনের ফল এবার পেতে চলেছেন গোলাপীচক উদয়পল্লী এলাকার মানুষ। দুই কোটি আট লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হচ্ছে রাস্তার। সোমবার হয়ে গেল রাস্তা পুনঃনির্মানের শিলান্যাস। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, বিধায়ক জুন মালিয়া, মেদিনীপুর খড়্গপুর ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান দীনেন রায়, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, পুরপ্রধান সৌমেন খান প্রমুখ। অতিথিরা বলেছেন, রাস্তাটির উপর দিয়ে যে হারে যানবাহন যাতায়াত করে তাতে এটা সংস্কারের খুবই প্রয়োজন ছিল।
লোকসভা ভোটের আগে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসীরাও।
রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলন করেছে এলাকার বাসিন্দারা। একাধিকবার হয়েছে রাস্তা অবরোধ। উল্লেখ্য, শহরের বাইপাশ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হওয়া ওই রাস্তাটি একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর তা সংস্কারের দাবিতেই লাগাতার আন্দোলনে নেমেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। শহরের বুকে ভারি যানবাহন চলাচল আটকাতে শহরের কুইকোঠা থেকে গোলাপীচক হয়ে মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম রোডে যাওয়ার জন্য ওই রাস্তাটিকে বাইপাশ হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর রাস্তাটির সংস্কার হয়নি। মাঝেমধ্যে কেবলমাত্র ঝামা ইট ও মোরাম দিয়ে প্যাচওয়ার্ক করা হয়েছে মাত্র। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ছিলেন এলাকার মানুষজন। তারা কমপক্ষে আধ ডজনবার রাস্তা অবরোধ করেছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা বারবার সেখানে ছুটে গিয়েছেন। ছুটে গিয়েছেন মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খানও। রাস্তাটির এক অংশ পুরসভার অন্তর্গত তো, অপর অংশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। নেতারাও বারবার আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে মোরামের ধুলো খেয়ে ডাস্ট অ্যালার্জির শিকার হয়েছেন বাসিন্দারা। অনেকেই যক্ষারোগের শিকার হয়েছেন বলে দাবি বাসিন্দাদেরই একাংশের। প্রশাসনিক কর্তারা দুর্গাপুজোর পর কাজ শুরু হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও কাজ শুরু না হওয়ায় ফের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা।
পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মলবাবু বলেন, ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। দেরিতে হলেও কাজ শুরু হওয়ায় প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে এলাকাবাসীর। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ওই রাস্তাটির এক কিলোমিটারের কাছাকাছি অংশ খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই অংশটি নতুনভাবে তৈরি করা হবে। বাকি অংশ সংস্কার করা হবে। রাজ্য সরকারের তহবিল থেকেই রাস্তাটির সংস্কার করা হচ্ছে।