জগদ্দলে দাদাকে হত্যার দায় স্বীকার করে ৬ বছর পর আত্মসমর্পণ ২ ভাইয়ের, বারান্দা খুঁড়ে উদ্ধার নিহতের হাড়গোড়

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৯ আগস্ট: ইঞ্জিনিয়ার দাদাকে হত্যার দায় স্বীকার করে জগদ্দল থানায় আত্মসমর্পণ ২ ভাইয়ের। ৬ বছর পর নিহতের বাড়ির বারান্দার মাটি খুঁড়ে মৃতের হাড়গোড় উদ্ধার জগদ্দল থানার পুলিশের। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য জগদ্দল থানার আদর্শপল্লী এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তদের উপযুক্ত বিচার চাইছেন।

জানাগেছে, নিহতের নাম নেপু শীল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এক শীতের রাতে ইঞ্জিনিয়ার দাদা নেপু শীলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল তার দুই ভাই অপু ও তপু শীল। ৬ বছর পরে বাড়ি ফিরে দাদাকে হত্যার অনুশোচনায় জগদ্দল থানার পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পন করে তারা। পুলিশ প্রথমে খুনি অপরাধী দুই ভাইয়ের অপরাধের কথা বিশ্বাস করতে চায়নি, পরে তারা জগদ্দল থানার পুলিশ কর্মীদের বোঝান তারাই ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বড় দাদা নেপু শীলকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর বাড়ির বারান্দায় পুঁতে রেখে ৬ বছর ধরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। অনুশোচনায় নিজেদের অপরাধ কাবুল করে আইনত শাস্তি পেতে চায় তারা। সেই কারনে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করছে।

শুক্রবার মাঝ রাতে জগদ্দল থানার পুলিশ আদর্শপল্লীর শীল বাড়িতে এসে বারান্দায় খোঁড়াখুড়ি করে নিহত নেপু শীলের দেহের হাড়গোর উদ্ধার করে। উদ্ধার করা হয় মৃতদেহের জামা কাপড়ও। এরপরই জগদ্দল থানার পুলিশ অভিযুক্ত দুই ভাই অপু ও তপু শীলকে গ্রেপ্তার করে, ধৃতদের জেরা করছে তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। জগদ্দল থানার পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, দাদা নেপু শীল মদ্যপ অবস্থায় তাদের দুই ভাইয়ের উপর অত্যাচার করত, মারধর করত। খুনের আগের রাতেও মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। দাদার অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমরা ওকে খুন করে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। তবে ৬ বছর পরে আমরা গ্রামে ফিরে আসি ওই বাড়িতে থাকব বলে, তখন সেদিনের খুনের ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়, যে দাদা মারত, সেই আমাদের পড়াশোনা করিয়েছে। আমরা সেই দাদাকে খুন করে অপরাধ করেছি, এখন শাস্তি পেতে চাই, তাই থানায় এসে নিজেরাই ধরা দিলাম।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *