হালিশহরে শ্মশানেই আক্রান্ত ২ বিজেপি কর্মী, উত্তেজনা

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৭ নভেম্বর : ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বীজপুর থানার অন্তর্গত হালিশহর এলাকা। অভিযোগ হালিশহর শ্মশানে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ দাহ করতে এসে শাসকদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয় ২ বিজেপি কর্মীকে। শ্মশানের মধ্যেই ওই ২ বিজেপি কর্মীকে মারধর করে ২০/২২ জন দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় মারাত্মক জখম হন শান্তনু গাঙ্গুলি ও সুকান্ত গাঙ্গুলি। তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায়, মুখে আঘাত করা হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের ফেলে দিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর জখম ২ বিজেপি কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় নদীয়ার কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। এই হামলার ঘটনায় জখম শান্তনুর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। এদিকে এই ঘটনার পর সুকান্ত গাঙ্গুলি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা বীজপুর মন্ডল ২ এ বিজেপির সক্রিয় কর্মী। আমরা বিজেপি করছি সেটাই আমাদের অপরাধ। আমার বন্ধুর বাবা প্রয়াত হওয়ায় আমরা শব দাহ করতে এই শ্মশানে এসেছি, এখানে আমাদের উপর ওরা আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাদের মারল। আমরা বিজেপি দল করি এটাই কি অপরাধ। পুলিশ সম্পূর্ণ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে। পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হবে না। ।লতবু অভিযোগ করব।”

এদিকে এই ঘটনায় শনিবার দুপুরে নদীয়ার কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে জখম বিজেপি কর্মীদের দেখতে যান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। জন সমর্থন নেই। তাই আমাদের নিরীহ কর্মীদের উপর হামলা করছে। তৃণমূলের সরকার আর বেশিদিন নেই। এভাবে মারধর করে বিজেপির জয় আটকাতে পারবে না।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল বলে দাবি করেছে তৃণমূল। বীজপুর থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *