দুটি বাংলাদেশী জাহাজ ডুবি

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৯ এপ্রিল: বৃহস্পতিবার ভোরে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে হুগলী নদীর চরে আটকে যায় একটি বাংলাদেশী জাহাজ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূজালি থেকে সিমেন্টের ছাই নিয়ে বাংলাদেশের দিকে রওনা দিয়েছিল জাহাজটি। অসতর্কতার কারণে সেটি আটকে যায় কুলপি থানার মন্তেশ্বর খাল এলাকায় হুগলী নদীর চরে। সেখানেই কাত হয়ে গিয়েছিল সেটি। পড়ে বেলা বাড়ার সাথে সাথে নদীতে জোয়ারের জল বাড়লে সেই জলের তোরে ডুবে যায় জাহাজটি।

অন্যদিকে এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ আরও একটি জাহাজ পূজালি এলাকা থেকে সিমেন্টের ছাই নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগর দ্বীপের কাছে মুড়িগঙ্গা নদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুৎয়ের খুঁটিতে ধাক্কা মারলে সেটি মুহূর্তের মধ্যেই তলিয়ে যায়। দুটি ক্ষেত্রেই অবশ্য জাহাজের ক্যাপ্টেন সহ অন্যান্য নাবিকদেরকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় মানুষজন।

বহু বছর ধরেই হুগলী নদী, মুড়িগঙ্গা, গঙ্গা এই জলপথ ধরেই ভারত থেকে সিমেন্টের ছাই আমদানি করে বাংলাদেশ। সেইভাবেই এদিন ও দুটি জাহাজ সেই ছাই নিয়ে রওনা দিয়েছিল বাংলাদেশের দিকে। দুটি পৃথক ঘটনায় দুটি জাহাজই এদিন জলমগ্ন হয়। প্রথমটি হুগলী নদীর মন্তেশ্বর খাল এলাকায় ও দ্বিতীয়টি মুড়িগঙ্গা নদীতে। হুগলী নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজের নাম ছিল এম ভি তোফা আরিফ ৪ এবং মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজের নাম হল এম ভি ধ্রুব রুপান্তি। ইতিমধ্যে দুটি জাহাজেরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে রাত হয়ে যাওয়ার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় মানুষদের একাংশের দাবি ভারতবর্ষ জুড়ে যেখানে লকডাউন যেখানে চলছে, সেখানে কিভাবে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া হুগলি নদীর পথ ধরে বজবজ পূজালি থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে এই ব্যবসা চলছে?

পাশাপাশি এই জাহাজ ডুবির ঘটনায় পোর্ট ট্রাষ্টের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। নদীর নাব্যতা ও স্রোতের মাত্রা সন্মন্ধে কেন জাহাজের নাবিকদের অবগত করা হয়নি তা নিয়ে ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *