আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ২৩ আগস্ট: এক আদিবাসী বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে। পলাতক তিন অভিযুক্ত। ধৃতদের রবিবার সিউড়ি বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরাবাঁধ গ্রামে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ১৮ আগস্ট রাতে। ওই দিন আদিবাসী বিধবা মহিলা পাশের গ্রামে পুজোয় অংশগ্রহণকারী এক পরিচিত যুবকের সঙ্গে মোটরবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রামে ঢোকার আগেই জঙ্গলের মধ্যে পাঁচ যুবক তাদের পথ আটকায়। তাদের গ্রামের ক্লাবে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে ওই মহিলাকে রাতভর গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরদিন তাদের ছেড়ে দিলেও হুমকি দেওয়া হয় ঘটনা কথা কাউকে জানানো যাবে না। ফলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসেন ওই মহিলা। ভয়ে কাউকে না জানিয়ে বাড়িতেই থেকে যান। কিন্তু অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় শনিবার তিনি পরিবারের সঙ্গে গিয়ে মহম্মদবাজার থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কার্টিজ হাঁসদা ও জল্পা হাঁসদাকে গ্রেফতার করে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতা মহিলাকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৭৬ (ডি) এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দশদিনের হেফাজত চেয়ে অভিযুক্ত দুজনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন। এখনো অধরা ঢোকা বাসকে, লখিয়া হাঁসদা, তাম্বর বাসকে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
সিউড়ি আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী শুভাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এক বিধবা মহিলা তার গ্রামের পাঁচ জন যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন”।

