পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ নভেম্বর: ‘দেবীপক্ষের দিন শেষ, ফিরে গেছে উমা। উৎসবে আবার মাতবে বাংলা, ঘরে আসছে শ্যামা।’ উমার যাওয়া এবং শ্যামা রূপে আবার আবির্ভূত হওয়ার মাঝখানের দিন গুলোতে উৎসব আনন্দ কাটিয়ে আবার মেতে উঠেছে বাঙালির চিরাচরিত রাজনৈতিক কুটকচালিতে। বাংলার রাজনৈতিক দলগুলোও বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে একে অপরকে টেক্কা দিতে ময়দানে নেমেছে। কারণ সামনে বছর ঘুরলেই লোকসভার ভোটের দামামা বাজছে।
রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসেরের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে বাংলার সমস্ত অঞ্চল থেকে জেলার সমস্ত জায়গায় চলছে বিজয়া সম্মেলন এবং গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একদিকে যেমন শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে, অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে ভাষণও চলছে কর্মীদের চাঙ্গা করতে। আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২২৮ খড়্গপুর বিধানসভার অন্তর্গত মেদিনীপুর সদর ব্লকের ৫টি অঞ্চল নিয়ে পাঁচখুড়ি এলাকায় বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দীনেন রায়, প্রাক্তন বিধায়ক প্রদুৎ ঘোষ, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, ব্লক সভাপতি মুকুল সামন্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এই সম্মেলন থেকে বিধায়ক দীনেন রায় জানান যে, বেশ কয়েকবার কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিম বাংলায় ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনা-র দুর্নীতি হয়েছে বলে বিভিন্ন টিম পাঠিয়েছিল, অথচ কোনো দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি, শুধুমাত্র বাংলাকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করতে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রের সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছে না, তাই প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বাংলার গরিব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এর ফল পাবে বিজেপি। আমরা আশাবাদী আগামী লোকসভা নির্বাচন যে আসছে তাতে ব্যাপকভাবে মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির নেতৃত্বে বিপুলভাবে বাংলা থেকে সাফল্য পাবে এবং সারা ভারতবর্ষ থেকে বিজেপি মানুষের রায়ে পরাজিত হবে।