TMC, Rampurhat, দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিস্কার তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সাধারণ সম্পাদক সুদেব দাস

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৮ জুন: দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ছয় বছরের জন্য বহিস্কার করা হল তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সাধারণ সম্পাদক সুদেব দাসকে। দিন দু’য়েক আগে দলের রামপুরহাট শহর সভাপতি বহিষ্কারের নোটিশ পাঠিয়ে দেন সুদেব দাসের কাছে। যদিও এই বহিষ্কারের পিছনে রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের চক্রান্তের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন সুদেব দাস।

প্রসঙ্গত, রামপুরহাট কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী সুদেব দাস রামপুরহাট পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২০০৫ সালে প্রথম সিপিএমের প্রতীকে জয়ী হন। ওই সময় পুরসভার চেয়ারম্যান ভোটাভুটিতে কংগ্রেসকে সমর্থন করায় সিপিএম তাকে বহিস্কার করে। ২০১০ সালে ওয়ার্ডটি মহিলা হওয়ায় সুদেব দাস এক মহিলাকে দাঁড় করিয়ে নির্দলে জিতিয়ে আনেন। ২০১৫ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ফের জয়ী হন সুদেব দাস। এরপর তৃণমূলে যোগদান করলেও দল তাকে টিকিট দেয়নি। সেই থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। তবে এতদিন তিনি দলের রামপুরহাট শহর সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। সদ্য লোকসভা নির্বাচনে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান তৃণমূলের শহর সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেননি। বরং বিজেপির পক্ষে ভোট করতে দেখা গিয়েছে তাকে। তাই দলের সিদ্ধান্ত মেনে তাকে বহিস্কার করা হল।”

সুদেব দাস বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে আমাকে কোনো মিটিংয়ে ডাকা হয়নি। আমার উপর কোনো দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। তাই আমি বাড়িতে বসেছিলাম। এই কারণে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে রামপুরহাট কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। কারণ উনি কলেজে আমার কর্মজীবনে আর্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত করে তার ঘনিষ্ঠ জনকে সেই লাভ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই কাজের আমি প্রতিবাদ করি এবং আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। তার অনৈতিক কাজ আমি মেনে নিতে না পারায় উনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। দল পর্যালোচনা করলে তার প্রমাণ পাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *