আমাদের ভারত, ২৮ নভেম্বর: “পশ্চিমবঙ্গের গ্রামেগঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের দুঃশাসন, দৌরাত্ম্য আর অসভ্য বর্বরতা যে কোন জায়গায় পৌঁছে গেছে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ আবারও সামনে এল।” শুক্রবার এক্সবার্তায় এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
তিনি লিখেছেন, “শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের লাগামহীন অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বাঁচার পথও ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে।
মন্দিরবাজার থানা লাগোয়া ঘাটেশ্বর গ্রামে যা ঘটেছে, তা প্রকৃত অর্থেই রোমহর্ষক। অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৫ নভেম্বর তৃণমূলের একটি মিটিংয়ে স্থানীয় নেতৃত্ব এলাকার সমস্ত টোটো চালকদের মাত্র দেড়শ টাকার মজুরিতে সারাদিন দলীয় কর্মীদের আনা-নেওয়ার নির্দেশ দেয়। ওই গ্রামেরই একজন টোটো চালক সাবির মির শারীরিক অসুস্থতার কারণে টোটো নিয়ে যেতে পারেননি, এটাই ছিল তাঁর অপরাধ!
এর পরদিন তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, হেনস্থা, এমনকি মারধর পর্যন্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, শাসক দলের স্থানীয় টোটো ইউনিয়ন ও নেতাদের পক্ষ থেকে তাঁর টোটো চালানোই বন্ধ করে দেওয়ার নিদান দেওয়া হয়!দলবাজির এমন নিপীড়ন, হুমকি এবং অকথ্য অত্যাচারের চাপে ভেঙে পড়ে সাবির মির সামাজিক মাধ্যমে লাইভে এসে বিষপান করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন!
এটাই আজকের তৃণমূল শাসনের বাস্তব চিত্র, যেখানে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ, টোটোচালক, দিনমজুর পর্যন্ত রেহাই পায় না। যেখানে রাজনৈতিক ‘দাদা’দের অত্যাচারের সামনে মানুষের জীবন, সম্মান, নিরাপত্তা কোনও কিছুই আজ নিরাপদ নয়।
এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে, গ্রামেগঞ্জে তৃণমূলের দৌরাত্ম্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, আর সাধারণ মানুষের নিঃশ্বাস নেওয়াও ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”

