আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ৭ এপ্রিল: নির্বাচনী কাজে যুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে সভা করায় নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এনিয়ে বিরোধীরা মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। যদিও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেনি বলে দাবি তৃণমূলের।
জানা গিয়েছে, রবিবার রামপুরহাট শহরের একটি বেসরকারি লজের সভাকক্ষে মহকুমার প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকাদের নিয়ে সভা করে তৃণমূল। সভায় শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রলয় নায়েক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল পদপ্রার্থী শতাব্দী রায়, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কিভাবে দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট করতে হবে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষক- শিক্ষিকাই নির্বাচনী কাজের সঙ্গে যুক্ত। কেউ কেউ দু’দিনের প্রশিক্ষণও নিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচনী কাজে যুক্ত এমন শিক্ষকদের নিয়ে সভা করা হল কিভাবে? এ প্রশ্নে শতাব্দী রায় ঢোক গেলেন। এরপর তিনি নিজেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন ইনারা কি নির্বাচনী কাজে রয়েছেন?
যদিও নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রলয় নায়েক। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে সমস্ত মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। ফলে রবিবার ছুটির দিন শিক্ষকরা আমাদের ডাকে এসেছেন। তারা ছুটির সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের সরকারের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরবেন। মানুষের কাছে প্রকল্পের কথা তুলে ধরবেন। এতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করি না”।
সংগঠনের সভাপতি প্রলয় নায়েক নির্বাচনী সভার কথা জানালেও শিক্ষক সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা দলীয় সভা করছি না। আমাদের রাজ্য সম্মেলনের বিষয়ে আলোচনা করতে জমায়েত হয়েছি। নির্বাচনী আলোচনা হয়নি”।
কংগ্রেস পদপ্রার্থী মিল্টন রশিদ বলেন, “নির্বাচনী কাজে যুক্ত ব্যক্তিরা সরাসরি রাজনীতি করলে ভোটে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রেও তারা তৃণমূলের হয়ে কাজ করবে। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত”।
বিজেপির শিক্ষক সেলের নেতা নীলকণ্ঠ বিশ্বাস বলেন, “নির্বাচনী কাজে যুক্ত শিক্ষকরা যদি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তাহলে তিনি কেমন ভোট গ্রহণ করবেন সেটা সকলের জানা। নির্বাচনী কাজে যুক্তদের সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা এনিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানাব”।