সায়নীর চায়ের আড্ডায় বালুরঘাটের গোষ্ঠীবাজির কথা তৃণমূল কর্মীর মুখে! ভরলো না চেয়ার, ড্যামেজ কন্ট্রোলের প্রসঙ্গ এড়ালেন রাজ্য নেত্রী

পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৯ ডিসেম্বর: কর্মীর মুখ থেকে প্রকাশ্যে গোষ্ঠী বাজির কথা শুনলো সায়নী। ভরলো না চায়ের আড্ডার চেয়ারও। বৃহস্পতিবার সকালে বালুরঘাটের হিলি মোড়ে চায়ের আড্ডায় যোগ দিতে এসে দলীয় কর্মীদের মুখ থেকে গোষ্ঠী বাজির কথা শুনে নিতান্তই হতবাক হয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য নেত্রী। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা যুব সভাপতিকে দু’একটি প্রশ্ন করেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করেছেন সায়নী ঘোষ। আর যাকে ঘিরেই রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে এখন বালুরঘাট শহরে।

যুব তৃণমূলের জেলা সন্মেলন ও প্রকাশ্য সভাকে ঘিরে দু’দিনের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সফরে আসেন যুব তৃণমূলের রাজ্য নেত্রী সায়নী ঘোষ। বুধবার বুনিয়াদপুরের সন্মেলন সেরে রাতেই চলে আসেন বালুরঘাটে। দলীয় কার্যক্রম অনুসারে এদিন সকালে শহর যুব তৃণমূলের তরফে হিলি মোড়ে একটি চায়ের আড্ডার আয়োজন করা হয়। সকাল আটটা থেকে সেই আড্ডা চালুর নির্দেশিকা দেওয়া হলেও দীর্ঘ প্রায় দু’ঘন্টা নেত্রীর অপেক্ষাতে ঠাঁই বসে রইলেন নেতা কর্মীরা। প্রায় দশটা নাগাদ দলীয় কর্মীদের মাঝে হাজির হয়ে চায়ের কাপে চুমুক দেন রাজ্য নেত্রী। যেখানেই চলে দলের কর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘ কথোপকথন। উঠে আসে শহরে তৃণমূলের গ্রুপ বাজির বিষয়ও। ওই এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূল কর্মী দীপক মালাকার হাতে মাইক নিয়ে নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে সরকারের একাধিক বিষয় নিয়ে ভুয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেন শহরে তৃণমূলের একাধিক গ্রুপের বিষয়। আর যার দরুন দলের কাজ করতে গিয়ে কার্যত হোঁচট খাচ্ছেন কর্মীরা, এমনটাও জানান তিনি। দীপক মালাকারের প্রকাশ্যে এমন বক্তব্যে কিছুটা অবাক হন রাজ্য নেত্রীও। যদিও তৎক্ষনাৎ ড্যামেজ কন্ট্রোলে পাশেই বসে থাকা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্বরিশ সরকারকে দু একটি প্রশ্ন করেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান রাজ্য যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ।

এদিকে চায়ের আড্ডার ওই বৈঠকে তেমনভাবে উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়নি তৃণমূল নেতা কর্মীদের। নেত্রীর উপস্থিতির সময়েও পিছনের দিকের অনেক চেয়ারই ফাঁকা থাকতে দেখা গেছে। যদিও এর পিছনে শহর তৃণমূলের গ্রুপবাজিই কাজ করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সায়নী ঘোষ বলেন, বালুরঘাটে আসা এবং এধরণের চায়ের আড্ডায় যোগ দেওয়া তার কাছে এক অন্য অনুভূতি। একইসাথে তার মুখ থেকে শোনা যায় শহরের মানুষ ও তাদের মার্জিত কথাবার্তার প্রশংসাও। চায়ের আড্ডার ওই বৈঠক নিয়ে নেত্রী আরো বলেন, অন্যরা চায়ের আড্ডা করে সমালোচনা করার জন্য। কিন্তু তারা তৃণমূল কর্মীরা এধরণের আড্ডা করেন মানুষের কথা শোনার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *