সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৮ মে: বিচারব্যবস্থার গলা টিপে ধরছে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের সমর্থনে প্রচার মঞ্চ থেকে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের শাসক দলকে তাঁর খোঁচা, এবার কি বিচারপতিদের পিছনে গুন্ডা লেলিয়ে দেবে তৃণমূল?
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের লক্ষ-লক্ষ ওবিসি সংরক্ষণ বাতিল হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রায় মানেন না বলেও জানিয়েছেন। এদিন তাঁর সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মোদী। তাঁর কথায়, “ভোট জিহাদিদের সাহায্য করতে তৃণমূল যে লক্ষ-লক্ষ ওবিসিকে ধোঁকা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট তার মুখোশ খুলে দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, মুসলিম জাতিকে ওবিসি ঘোষণা করা অবৈধ, অসাংবিধানিক। এটা করা যায় না।” এর পরই তাঁর সংযোজন, “তৃণমূল লক্ষ লক্ষ ওবিসি জওয়ানদের সাংবিধানিক অধিকার লুট করেছে।”
মোদীর তোপ, “হাইকোর্টের রায়ের পর তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন? তাঁর আচরণ দেখেছেন? কীসব বলছেন উনি! আমি তো অবাক।” সংযোজন, “আমাদের আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? এখানকার বিচারপতিদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে?” এর পরই তৃণমূলকে তাঁর খোঁচা, “এবার কি বিচারপতিদের পিছনে নিজেদের গুন্ডা লেলিয়ে দেবেন?”
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের পরবর্তী রাজ্য সরকারের দেওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল বলে গণ্য হবে। ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। তবে ২০১০- এর পরবর্তী অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের দেওয়া সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে বাতিল হচ্ছে ৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আগেই আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, “এটা কখনও হতে পারে? তাহলে সংবিধান ভেঙে দিতে হয়। শুনলাম কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে। যদিও তার রায় আমি মানি না।” এনিয়ে এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মোদী।