আমাদের ভারত, ১০ মার্চ: জনগণের গর্জন বাংলায় বিরোধীদের বিসর্জন। ব্রিগেড থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলো তৃণমূল কংগ্রেস। এবার প্রথম ব্রিগেড মঞ্চ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রচারে সুর বেঁধে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কামান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্রিগেডে ভাষণ শুরু করেই বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতজোড় করে প্রণাম জানান সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে। আর বক্তব্য রাখতে শুরু করেই চমকের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিম। বললেন আমার কথা শেষ হলে এই র্যাম্পে ৪২ জন প্রার্থীকে নিয়ে হাঁটবো আমি।
আজ বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই অরুণ গোয়েলের পদত্যাগ ইস্যু তুলে আনেন তৃণমূল সুপ্রিম। তিনি বলেন, গতকাল নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। কাগজে দেখলাম বাংলার উপর যথেচ্ছ সন্ত্রাস ও বাংলায় ভোট নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। তাকে এই মঞ্চ থেকে স্যালুট জানাচ্ছি। নিজের লেজ নিজেই কাটছে। যে গাছের ডালে বসে আছে সেই গাছের ডালই কাটছে।
মোদীকে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি বলছি যে কিছু অফিসারের কথা শুনে বলছেন মোদীবাবু। ঠিক আছে, কিন্তু তথ্যটা যাচাই করে নিন। আমরা ৪৩ হাজার বাড়ি তৈরি করে দিয়েছিলাম। কিন্তু দু’বছর টাকা বন্ধ করে রেখেছে। যদি পয়লা মে-র মধ্যে টাকা না দেয় কেন্দ্র, তাহলে আমরাই বাড়ি তৈরি করে দেব।”
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ভোটের আগে আধার কার্ড বাতিল করে দিচ্ছিল। আমার গর্জন শুনে থমকে গিয়েছে। নির্বাচনে ব্যাক আউট করে দেবেন। ওরা বলে ওপার বাংলায় পাঠিয়ে দেবে। আমরা কাউকে পাঠাতে দেবো না। আমরা শেল্টার দেব।
দুর্নীতি ইস্যুতে পাল্টা দিয়ে তিনি বলেন, টাকা না দিয়েই বলছে যে তৃণমূল টাকা খেয়ে নিয়েছে। বাংলা আত্মনির্ভর হবে তখনি, যখন আমি তৃণমূলকে জেতাবো। ১৮টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। সেখানে কি করেছে বিজেপি? মেট্রোর উদ্বোধন করে গেলেন। ওটা তো আমি শুরু করেছিলাম। শুধু ফিতে কেটে গিয়েছেন। আমি টাকা দিয়েছিলাম।
অন্যদিকে নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থাকে অনুরোধ করছি। বিজেপির কুর্সিতে বসে বিচার করবেন না। ওদের মুখোশ তো দেখেছেন। কেউটে সাপের থেকেও ভয়ঙ্কর। কুর্সিতে যখন ছিল তখন কেউটে ছিল, বাইরে বেরিয়ে গোখরো। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন, প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কথা বলতে গিয়ে বলেন, দু তিন দিন পর থেকে রাস্তায় নামবে ইডি। ভয় পাবেন না সিজার লিস্ট চাইবে।
একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, দেশ কোন পথে চলবে সেটা ঠিক করবে তৃণমূল কংগ্রেস। দিশা দেখাবে বাংলা। বাংলায় একা লড়বে তৃণমূল। লড়াই হবে তৃণমূল বনাম বিজেপির।