আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১১ নভেম্বর: “দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আপনার মনে পড়ল বেকারদের চাকরি দিতে হবে। কিন্তু ২০২১ সালে আপনারই তো চাকরি থাকবে না। ২০২১ সালে কার্নিভ্যাল করে আপনার দলকে বিসর্জন দেবে বামফ্রন্ট।” বুধবার রামপুরহাট পুরসভার মাঠে ডিওয়াইএফআইয়ের সভায় এভাবেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র।
‘জাত ধর্মের রাজনীতি বাদ দাও, সব হাতে কাজ দাও’। এই স্লোগানকে সামনে রেখে এদিন বিকেলে সভার করে ডিওয়াইএফআই। সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সহ সভাপতি মতিউর রহমান, জেলা সম্পাদক মনোতোষ মজুমদার, জেলা সভাপতি অমিতাভ সিং। মঞ্চের নিচে দর্শক আসনে বসে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সায়নদীপ মিত্র কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন। বলেন, “যখন মানুষ খেতে পাচ্ছে না, তখন কেন্দ্রীয় সরকার রাম মন্দির গড়ছেন। আগে প্রধানমন্ত্রী ষ্টেশনে চা বিক্রি করতেন। এখন ট্রেন, ষ্টেশন বিক্রি করছেন। এখন সাধারণ মানুষের সর্বনাশ। আর আদানি আম্বানির পৌষমাস। তাদের ব্যবসা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বিহারে কানের গা ঘেঁষে জয়ী হয়েছে। এরাজ্যে তাদের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না”।
এরপরেই তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “কলকাতায় প্রতি বছর দুর্গা পুজোর পর কার্নিভ্যাল হত। কিন্তু এবার হয়নি করোনার জন্য। ২০২১ সালে নবান্ন থেকে কার্নিভ্যাল শুরু করে বিসর্জন দেব তৃণমূলকে। তখন তৃণমূলের পতাকা ধরার কেউ থাকবে না। মিউজিয়ামে গিয়ে তৃণমূলকে দেখতে পাওয়া যাবে। কারন এই তৃণমূল আর বিজেপি জাতপাতের রাজনীতি করতে চাইছে। সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে তৃণমূল। এই তৃণমূলই রাজ্যে বিজেপিকে পা রাখার জায়গা করে দিয়েছে। প্রায় দশ বছরে এই সরকার রাজ্যে কোনও সাফল্য দেখাতে পারেনি। ভাইপোর রঙের ব্যবসা বাড়াতে বামফ্রন্টের সাফল্যের গায়ে নীল সাদা রং করেছে”।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম না সায়নদীপ বলেন, “শুধু তৃণমূলের কোনও নেতার মাথায় অক্সিজেন যায় না তা নয়, গোটা তৃণমূল দলের এখন অক্সিজেন চাই। বিহারে ১৮ টি আসনে বামফ্রন্টের জয়লাভ করিয়ে জনগন বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা বামপন্থার উপর ভরসা রাখছেন”।
তৃণমূলের আমলে বিধায়ক ধীরেন লেটকে কানধরে ওঠবস করা প্রসঙ্গে রাজ্য সম্পাদক বলেন, “এবার জনগন শুধু ওদের কান ধরে ওঠবস করাবে তা নয়, ওদের মাথা ধরে টানবে”। ২৬ নভেম্বর সাধারণ ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সাত মাস লক ডাউন করেছে। আমরা মেহেনতি মানুষের স্বার্থে একদিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। ওই ধর্মঘটে তৃণমূল কিংবা পুলিশ বাধা দিলে বামফ্রন্টের কর্মীরা তাদের কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়ে দেবে”।