পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৭ জুন: এক প্রার্থীকে দুইটি আসনে টিকিট দিল তৃণমূল। শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বালুরঘাটের চকভৃগুতে। শুধু তাই নয়, দলের অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা নন্দ কিশোর মজুমদার। যাকেই এবারে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দুটি আসন থেকেই টিকিট দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। যে ঘটনা সামনে আসতেই তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে খোদ দলের অন্দরে।
যদিও এই ঘটনা কর্মীদের ভালোবাসা থেকেই ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ওই তৃণমূল প্রার্থী তথা অঞ্চল সভাপতি নন্দ কিশোর মজুমদার। এদিকে এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করতে পিছপা হয়নি বিজেপি। তাদের দাবি, ওই দলে কোনো শাসন নেই, তাই একই ব্যক্তি একাধিক জায়গায় টিকিট পাচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘাসফুলের প্রতীক নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নানা হিংসার ঘটনা। শুধু তাই নয়, আগামী পাঁচ বছর এলাকা কার দখলে থাকবে তা নিয়েও নেতা কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল লড়াই। আর যার জেরে শুরু হয়েছে গোজ প্রার্থী দেবার প্রতিযোগীতাও। যদিও এসব থেকে এক উলটো চিত্র ধরা পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকায়। ওই এলাকার অঞ্চল সভাপতি নন্দ কিশোর মজুমদারকে দু’ দুটি আসনে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দুটি আসনেই প্রার্থী হয়েছেন নন্দ বাবু। যা শুধুমাত্র জেলা নয় রাজ্য রাজনীতিতেও সাড়া ফেলেছে।
একই ব্যক্তি কিভাবে দুটি আসনের টিকিট পেল তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্নের মুখেও পড়েছে নেতৃত্বরা। যদিও পরবর্তীতে এলাকার যুব নেতা মিঠুন মজুমদারকে পঞ্চায়েত সমিতির আসনটি ছেড়ে দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। নন্দ কিশোর মজুমদার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ওই যুব নেতাকে পঞ্চায়েতের টিকিটটি ছেড়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বরা। যদিও এই ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল দলে কোনো শাসনই নেই। তাই এধরণের হাস্যকর ঘটনা ঘটছে।
তৃণমূল প্রার্থী নন্দ কিশোর মজুমদার বলেন, কর্মীদের ভালোবাসা থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চায়েত ও গ্রাম পঞ্চায়েত দুই জায়গায় তার নাম এসেছে প্রার্থী হিসাবে। কেননা এর আগেও তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। সেই থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও পরবর্তীতে পঞ্চায়েত সমিতির আসনটি ছেড়ে দিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে লড়াই করছেন তিনি।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তৃণমূল দলটাতে শাসন বলে কিছুই নেই। তাই এধরণের হাস্যকর ঘটনা ঘটছে।