পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৩ জুলাই: হেরে যাওয়া তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে বিডিওকে চাপ দুষ্কৃতিদের। নির্বাচনের অফিসিয়াল গ্রুপে সিসিটিভির ফুটেজ দিয়ে অভিযোগ আতঙ্কিত বিডিওর। তুমুল হইচই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে। ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যপালকে লিখিত অভিযোগ বালুরঘাটের সাংসদের।
জানা যায়, বালুরঘাটের ভাটপাড়া এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী তথা তৃণমূলের মহিলা নেত্রী স্নেহলতা
হেমব্রমকে পুর্নগণনা করে জিতিয়ে দেবার দাবি জানায় কিছু দুষ্কৃতিরা। একটি নিউজ পোর্টালের সংবাদ মাধ্যমের এক মহিলা প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েই এমন অবৈধ আবদার বিডিওকে করেন ওই দুষ্কৃতিরা বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সমাজবিরোধীদের বিডিওর কোয়ার্টারে ঢুকিয়ে হামলা করা হবে এমনটাও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। যা নিয়েই নির্বাচনের অফিসিয়াল গ্রুপে বালুরঘাট বিডিও তার একটি আতঙ্ক ভরা বক্তব্য পোস্ট করেন। যার সাথে প্রমাণ হিসাবে বেশ কয়েকটি
সিসিটিভির ভিডিও গ্রুপে পোস্ট করেছেন বিডিও। যে ভিডিও এবং বিডিওর আতঙ্কিত লেখা নিয়েই বৃহস্পতিবার একটি টুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার অভিযোগ, গণনার দিন যে বিডিওর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগে তারা বারবার সরব হয়েছেন এবার তিনি নিজেই সেই আতঙ্ক নিয়ে সরাসরি অভিযোগ করছেন। যা থেকেই অনুমেয়, গণনা কেন্দ্রে এই দুষ্কৃতিরা বিডিওকে দিয়ে কি কাজ করিয়েছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তাদের জেতা প্রার্থীকে হারানোর চক্রান্ত চলছে এমনই লিখিত অভিযোগ রাজ্যপাল ও নির্বাচন কমিশনকে করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যদিও এই ঘটনা নিয়ে বিডিওর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মহিলা নেত্রী স্নেহলতা হেমব্রম এই প্রসঙ্গে বলেন, আমি ওখানে গিয়েছিলাম পুর্নগণনার আবেদন করাতে। যেখানে গিয়ে দেখি বিডিও সাহেব অফিসে নেই, তিনি অসুস্থ থাকার কারণে বাড়িতে ছিলেন। আমার সঙ্গে আমি কয়েকজন কর্মী সমর্থককে নিয়ে গিয়েছিলাম। কোনো রকম চাপ দেওয়া হয়নি। বিডিও এটা সত্য বলছেন না। উনি তো আমাদেরই লোক।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের জেতা প্রার্থীকে হারানোর চক্রান্ত চলছে। বিডিওর পোস্ট প্রমাণ করেছে গোটা রাজ্যজুড়ে কি চলছে।
তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। সুকান্তবাবু কোথা থেকে এসব তথ্য পাচ্ছেন সেটাও তাদের জানা নেই।

