পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জুন: আদালতের নির্দেশে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদ হারালেন তৃণমূল প্রার্থী। আদালত সূত্রে জানাগেছে, ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খড়্গপুর-২ ব্লকের কালিয়াড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পঞ্চায়েত সমিতির ৪ নম্বর আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন মানোয়ার আলি। তিনি জয়ীও হন। দল তাঁকে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষও করে। কিন্তু পঞ্চায়েত আইন না মানায় আদালত তার প্রার্থী পদ বাতিল করে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই আসনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন কালিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বাসিন্দা সুশান্ত পাল। তৃণমূল তাঁকে দলীয় প্রতীক না দেওয়ায় ব্লক রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিনি মানোয়ারের মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় মেদিনীপুর জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন। মানোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে সুশান্ত অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় ঠিকাদারি করলে সেখানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে না। মানোয়ার আলি ঠিকাদারি করা সত্ত্বেও কিভাবে মনোনয়ন পেল? এই সমস্ত নথি দিয়ে মেদিনীপুর জেলা আদালতের সিভিল কোর্টে তিনি মামলা করেছিলেন। মেদিনীপুর আদালতের সেকেন্ড কোর্টের সিভিল জজ অর্পিতা হাজরা ওই আসনের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করেছেন।
সুশান্ত পালের আইনজীবী কুশল মিশ্র শনিবার জানান, পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী মানোয়ার আলি মিথ্যে তথ্য দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আদালত তাই খড়্গপুর-২ ব্লকের কালিয়াড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনের নির্বাচন বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে।
তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সুশান্ত পালের দাবি, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি তৃণমূল দলে রয়েছেন। কংগ্রেস করার জন্য তাঁর বাবাকে খুনও হতে হয়েছিল। সেই সময় যুব কংগ্রেস সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। ২০১৩ সালের নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েত সমিতি আসন থেকে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে দল তাঁকে আর টিকিট দেয়নি। ২০২৩- এর নির্বাচনে তাঁকে টিকিট না দিয়ে মানোয়ার আলিকে দল টিকিট দিলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।