আমা ৬ মার্চ: বাংলায় গ্রহণ চলছে, আর সেই গ্রহণের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের উন্নয়ন এরা কিছুতেই হতে দেবে না। যেখানে যেখানে এদের সরকার চলছে সেখানে মা-বোনেদের উপর অত্যাচার চলছে। আপনাদের কাছে আমার একটাই আবেদন, দেশের কোনায় কোনায় যেখানে ইন্ডি জোট আছে সেখানে পদ্ম ফুটিয়ে তুলুন। বারাসতের মঞ্চ থেকে বুধবার দুপুরে বাংলা তথা দেশের ভোটারদের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদীর দাবি, ইন্ডিয়া জোট জিতবে বুঝতে পেরেই ওরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। সন্দেশখালি ও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে বাংলার লোকসভা ভোটের প্রচারে ইতিমধ্যেই গর্জন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বারাসতে সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সামনে আবারো একবার তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, বাংলায় তৃণমূল সরকার অপরাধীদের বাঁচাতে সমগ্র শক্তিকে কাজে লাগিয়েছে। কিন্তু হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট তাদের মুখের ওপর জবাব দিয়েছে। বাংলার মহিলা থেকে শুরু করে দেশের সব মহিলারা সন্দেশখালি নিয়ে ক্ষুব্ধ। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তৃণমূলের অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করতে নারী শক্তি আজ জেগে উঠেছে। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করা তৃণমূল সরকার মা-বোনেদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না।
বিজেপি কিভাবে নারী শক্তিকে বিকশিত ভারতের অঙ্গ হিসেবে যুক্ত করেছে আজকের সমাবেশ তারই সাক্ষী বলে দাবি করেছেন তিনি। বুধবার বারাসতের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকারের আসা নিশ্চিত দেখে ইন্ডি জোটের ঘুম ছুটেছে। ওদের নেতৃত্ব বারবার আমাকে গালাগালি দিয়েছে। এখন ওরা জানতে চেয়েছে মোদীর পরিবার কোথায়? ওরা এখানে এসে দেখুক এই সমাবেশে উপস্থিত মা-বোন, দেশের সাধারণ মানুষ আমার পরিবার। বাংলার প্রত্যেক মা-বোন আমার পরিবার। মা-বোনেদের মা দুর্গার সাথে তুলনা করেছেন মোদী।
আজকের সভার আগে কলকাতা মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনের কথাও সমাবেশে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ আগে কলকাতায় এলে বলতো দেখো কিভাবে মাটির নীচে ট্রেন চলে। বিজেপি সরকার আসার পর সেই মেট্রোকে আরো দ্রুত এগিয়ে নিয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সন্দেশখালিকে প্রতীক করে এদিনের সভার থিম ছিল নারী শক্তির বহিঃপ্রকাশ। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে আগের দিনেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মোদী। মহিলাদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, এখনকার মহিলারা দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়িয়েছেন অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আজ আবারো বোঝালেন সন্দেশখালির নারী উত্থান রাজ্যের শাসক দলের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

