আমাদের ভারত, ৩০ আগস্ট: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব তাঁর এই মন্তব্যের কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এই মন্তব্যকে উগ্রপন্থী মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন। নিন্দা করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতো অনেকেই।
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মহুয়া মৈত্র, অমিত শাহ সম্পর্কে যে কথা বলেছেন সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মহুয়া মৈত্রের যে বক্তব্য মাথা কেটে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাখা উচিত। এই মন্তব্য আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এবং সাংসদ মহুয়া মৈত্ররা কী ধরনের হিংসাত্মক চিন্তাভাবনায় বিশ্বাস করে সেই হিংসাত্মক চিন্তা ভাবনার বহিঃপ্রকাশ।” তিনি বলেন, “এই বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছিল কোনো গণতান্ত্রিক দলের নেতৃত্ব বক্তব্য রাখছেন না। যারা অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনায় বিশ্বাসী যেমন জামাতের মতো সমস্ত উগ্রপন্থী সংগঠনের প্রতিনিধি বা স্পোক্স পার্সেন হিসেবে এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লক্ষ্য করে অসংসদীয় মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। এই ইস্যুতে ক্ষোভ উপড়ে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “অমিত শাহর বিরুদ্ধে মহুয়া মৈত্রর করা মন্তব্য ক্ষমার অযোগ্য ও নিন্দনীয়।” একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের করা এই অশালীন মন্তব্য গোটা দেশের প্রতি অপমান এবং এর জন্য অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
অন্যদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “আমি ভিডিওটি দেখেছি। ওই ভিডিও তার নিচু মানসিকতার পরিচয়। এর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই।”
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক মহুয়া মৈত্রর মন্তব্যের কড়া নিন্দা করে বলেছেন, মহুয়া মৈত্রর বক্তব্য গণতান্ত্রিক রাজনীতির কলঙ্ক। তাঁর দাবি, এই ধরনের বিষাক্ত শব্দ শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, বিজিপি নেতাদের হুমকি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ইন্ডিয়া ব্লকের হতাশা ও অরাজকতার মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অমিত শাহকে নিয়ে করা বিতর্কিত মন্তব্যে জেরে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দিল্লিতে বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র নেগি এবং নদিয়ার এক বিজেপি কর্মী আলাদাভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।