Devdutta Maji, BJP, Minakha, মিনাখাঁয় হিন্দু বিজেপি কর্মীর পরিবারের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে, পাশে দাঁড়ালেন দেবদত্ত মাজি

আমাদের ভারত, ৩১ আগস্ট: স্বামী বিজেপি করতেন, তাই তার মৃত্যুর পর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অত্যাচার নেমে এসেছে। জোর করে তাদের টাকা- পয়সা, জমি- জমা বাড়ি কেড়ে নিয়ে ওই হিন্দু বিজেপি কর্মীর পরিবারকে পথে বসাতে চাইছে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ তৃণমূল নেতৃত্ব বলে অভিযোগ। এমনকি তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মিনাখার ভুঁইঞা পরিবারের। কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে এই অসহায় পরিবার বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজির স্মরণাপন্ন হন। তিনি তাদের সাহায্য করেন ও এই ঘটনার কথা একটি ভিডিওর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন।

এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিওটিতে বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি নিজে পুরো ঘটনা সম্পর্কে জানান। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় ২০১৯ সালে বিজেপি কর্মী রবি ভুঁইঞার একটি গাড়ি দুর্ঘটনার মৃত্যু হয়। তারপর থেকে তার পরিবার সমস্যায় পরে। গরিব তফসিল পরিবারকে ইন্সিওরেন্সের টাকার জন্য আদালতে পর্যন্ত যেতে হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশ তাদের সিরাজুল ইসলাম নামে আলিপুর আদালতের নামে এক উকিলের কাছে পাঠায় মামলা লড়ার জন্য। দীর্ঘদিন মামলা লড়ে ইন্সিওরেন্স সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত টাকার চেক হাতে পান উকিল। মামলা লড়ার জন্য পারিশ্রমিক পাওয়া সত্ত্বেও সিরাজুল ইসলাম জোর করে ওই পরিবারের কাছ থেকে ৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার চেক লিখিয়ে নেন। অর্থাৎ ইন্সিওরেন্স সংস্থা থেকে প্রাপ্ত টাকার অর্ধেক চলে যায় ওই উকিলের কাছে। এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হিসেবে পরিচিত ওই উকিল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা- কর্মীদের কাছে খবর দেয় ভুঁইঞা পরিবারের হাতে টাকা আছে। সেই খবর জানতে পেরেই স্থানীয় বিধায়ক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব এই পরিবারের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে।

ভুঁইঞা পরিবারের জামাই সনৎ মাইতি পেশায় ড্রাইভার ও বিজেপি কর্মী। আর মৃত রবি ভুঁইঞার ২০ বছরের ছেলে রজত ভুঁইঞাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন। তাদের বাড়ি ছেড়ে, এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। তৃণমূল নেতাদের লক্ষ্য, ভুঁইঞা পরিবারের বাড়িটি তারা তৃণমূলের পার্টি অফিস বানাবে।

দিনের পর দিন এই অত্যাচারের মুখোমুখি হয়ে শেষে প্রাণে বাঁচতে তারা বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজির কাছে আসেন। দেবদত্তবাবু তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি পুরো ঘটনা তুলে ধরে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এই ভিডিওটির মাধ্যমে তিনি জাতীয় এস সি কমিশন, হিউম্যান রাইটস কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করেছেন। একই সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আয়ুব হুসেন গাজি, পঞ্চায়েত প্রধান ঝুমা চক্রবর্তী, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী, তৃণমূল বুথ সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডলের বিরুদ্ধে এই ভুঁইঞা পরিবারের উপর লাগাতার অত্যাচার ও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এরা ওই ভুঁইঞা পরিবারকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চাপ দিয়েছে। জমি জমা তৃণমূলের কংগ্রেসের নেতাদের নামে লিখে দিতে চাপ দিয়েছে।

কিন্তু এতকিছু ঘটলেও পুলিশ এবিষয়ে নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ করেছেন দেবদত্তবাবু। ফলে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের অত্যাচারের কাছে ভুঁইঞা পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি। গত ২১ তারিখ রজত ভুঁইঞাকে বাড়ি থেকে ক্লাবে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করার হুমকি দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। এমনকি প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে বলে ভিডিওতে অভিযোগ করেছেন ভুঁইঞা পরিবারের জামাই সনৎ মাইতি। এরপরই প্রাণ বাঁচাতে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *