কলকাতা বন্দরে উদ্ধার ২০০ কোটির মাদক আনিয়েছিল তৃণমূল নেতা, তথ্য দিয়ে বিস্ফোরক দাবি বঙ্গ বিজেপির

আমাদের ভারত, ১৫ সেপ্টেম্বর: কয়েকদিন আগে কলকাতা বন্দরে আটক হওয়া ২০০ কোটি টাকার হেরোইন এসেছিল তৃণমূলের এক কর্মীকে সরবরাহ করতে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল বিজেপি। প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে এসেছিল বলে দাবি বিজেপি। সংস্থার মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত।

ওই শরিফুল সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা ও শেখ শাজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি বিজেপির। বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন এই মাদক পাচার সংক্রান্ত ঘটনায় রাজ্যের দুই মন্ত্রীও যুক্ত।

তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলির দাবি, যে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সব মিথ্যা। বিজেপির মত মিথ্যাচারী দল আর দুটো নেই। ওদের কথা কেউ বিশ্বাস করবেন না।

বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গিয়ার বাক্সতে লুকিয়ে কন্টেনার ভর্তি করে হেরোইন আনা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও ছবিও পেশ করে রাজ্য বিজেপি,(এর সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের ভারত)।

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর গুজরাট পুলিশের এটিএস কলকাতা বন্দরে তল্লাশি চালিয়ে ২০০ কোটি টাকার ৪০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে বলে জানিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, গত বছর মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে মাদক বুক করা হয়েছিল। অভিযোগ, গত মার্চ মাসে দুবাই থেকে ওই মাদক কলকাতায় আসে মোট ৬০৫ টি প্যাকেট এবং আড়াই হাজার কিলোগ্রাম স্পেয়ার পার্টসের সঙ্গে। মাদক এসে কলকাতা বন্দরে পড়ে থাকলেও সেটা শরিফুল্লা মোল্লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়ে যায়নি।

বিজেপির দাবি, পলিউশন সার্টিফিকেটের সমস্যার কথা জানিয়ে বন্দর থেকে ওই মাদক ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। পরে ৯ সেপ্টেম্বর গুজরাট এটিএস তল্লাশি চালিয়ে এটি বাজেয়াপ্ত করে। বিজেপির দাবি, এরপরেই শরিফুলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে খুঁজে পায়নি বিএসএফ। বিজেপির আশঙ্কা তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন।

সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন সিবিআইয়ের থেকে রাজ্যের সিআইডি বেশি কার্যকর। তাই আমি চাইব শারিফুল্লা কোথায় আছেন রাজ্য তা খুঁজে বার করুক। শরিফুলের এক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সন্দেশখালি ব্লক দুই তৃণমূল সভাপতি শেখ শাজাহান রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি ১৭-১৮ বার বৈঠক করেন এই কন্টেইনারটি আটক হওয়ার পর। এই বৈঠক হয় দুর্নীতির কারণে। “সম্প্রতি সেই মন্ত্রীর দপ্তর বদল হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তবে তার নাম উল্লেখ করেননি তারা।

বিজেপির দাবি, মাদক ব্যবসার জন্য ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল। সেটা কোথায় পেয়েছিলেন তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন সুকান্ত। তাঁর বক্তব্য দীর্ঘদিন কলকাতা বন্দরে আফগানিস্তান থেকে দুবাই হয়ে আসা মাদক পরে থাকলেও তা পুলিশ ধরতে পারেনি। কন্টেইনার নিলামের অপেক্ষায় ছিল। গুজরাটের এটিএস এসে ধরে ফেলে। সুকান্ত দাবি করেন, তৃণমূল কর্মী শরিফুল্লা এখন কোথায় সে প্রশ্নের উত্তর সবার আগে জানতে হবে। তিনি কি পালিয়ে গেলেন ? একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন শরিফুল্লির সঙ্গে তৃণমূলের দুই নেতার ফোনে কথা বার্তার রেকর্ডিং রয়েছে তাদের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *