আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ৩ নভেম্বর: দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল এক তৃণমূল নেতাকে। ধৃত তৃণমূল নেতা বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের পাঁচরা অঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি। বর্তমানে তিনি অঞ্চলের সাত সদস্যের কমিটির সদস্য। মঙ্গলবার তাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৩ জুলাই সন্ধ্যে থেকে নিখোঁজ হয়ে যান শিশির বাউরি (৪৫) নামে এক তৃণমূল কর্মী। তার বাড়ি খয়রাশোল থানার আমাজোলা গ্রামে। পরের দিন গ্রামের কিছুটা দূরে রানিপাথরা গ্রামের রাস্তার ধারে তার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ দেখার পর পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগ, রাতে খাওয়া-দাওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় শিশির বাউরিকে। পরের দিন সকালবেলায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর মৃত শিশির বাউরির স্ত্রী বুলু বাউরি কিশোর মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজনের নামে খয়রাশোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযোগের তালিকায় নাম থাকা কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও কিশোর ছিলেন অধরা। শেষ পর্যন্ত চার মাস পর সোমবার রাতে কিশোর মণ্ডলকে তার খয়রাশোলের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত কিশোর মণ্ডল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কিশোর মণ্ডলের হাত ধরে পাঁচরা অঞ্চলে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি তৈরি হয়েছে। তাই বিজেপি চক্রান্ত করে তৃণমূলের সংগঠনকে দুর্বল করতে মৃতের পরিবারকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে”।