আমাদের ভারত, ১৮ জানুয়ারি: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে সিএএ সহ একাধিক বিষয়ে তুলে সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং মিঠুন চক্রবর্তী। তাদের কথায় ভারতের যারা নাগরিক তাদের কেউ কখনো তাড়াবে না। তা সে নাগরিক যে কোনো ধর্মেরই হোন না কেন।
রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পদ্ম শিবির। বাসন্তীতে দলের সভায় গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সিএএ এলে কাউকে দেশছাড়া করা হবে না। এতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অহেতুক ভয় দেখাচ্ছেন।তাঁর কথায় ,”ভারতবর্ষের নাগরিক হলে কারোর ক্ষমতা নেই আপনাকে তাড়িয়ে দেবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে আমি এই কথা দিচ্ছি।”
এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, লকডাউনের সময় বাড়িতে রেশন পৌঁছানো থেকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা সমস্তটাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই নরেন্দ্র মোদী ভারতবাসীর আসল বন্ধু।
বাসন্তী সভা মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘুদের বার্তা দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও প্রায় একই কথা বলেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। ভারতবর্ষের কোনো সম্প্রদায়ের মানুষেরই কোনো দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। সিএএ এলে যারা ভারতবর্ষের নাগরিক তারা ভারতবর্ষেই থাকবেন। কাউকে রাজ্য কিংবা দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে না।
এদিনের মঞ্চ থেকে সংখ্যালঘুদের একই বার্তা দেন মিঠুনও। বিজেপি নেতার কথায় সঠিক ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড যদি থাকে কেউ আপনাকে তাড়াবে না। নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। ভুল প্রচার চলছে।
বুধবার বাসন্তীতে পৌঁছে প্রথমে সুকান্ত ও মিঠুন চক্রবর্তী যান ভারত সেবাশ্রম সংঘের আশ্রমে। সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন তারা। আবাস দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মত একাধিক জলন্ত ইস্যুকে সামনে নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে এদিন বাসন্তীতে পথে নেমেছিল বিজেপি। এই মিছিলে মিঠুন চক্রবর্তী সুকান্ত মজুমদারের সাথে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পালরাও। মিছিলে অংশ নেন ঝান্ডা হাতে অগণিত বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।