আলিপুরদুয়ারে দিনভর চা-শ্রমিকদের জন্য নানান দাবিতে আন্দোলনে তৃণমূল

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ১৫ জানুয়ারি: চা-শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে এবার বড়সড় আন্দোলনে নামলো তৃণমূল প্রভাবিত চা-শ্রমিক সংগঠন চা-বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়ন। তরাই ও ডুয়ার্সের কমবেশি ২০০টি চা-বাগানে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল অবদি পালা করে বাগানের গেটগুলিতে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়।নকশালবাড়ি থেকে কুমারগ্রাম স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেয় চা-শ্রমিকরা। মূলত চা-বাগানে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা, শ্রমিকদের বকেয়া পিএফ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া, চা-শ্রমিকদের অবসরের বয়স ৫৮ থেকে ৬০বছর করা, আধার কার্ড নিয়ে চা-শ্রমিকদের গত ২বছর ধরে লাগাতার যে সমস্যা হচ্ছে তার সুরাহার দাবিগুলি উঠে এসেছে এদিন।

এদিন তীব্র ঠান্ডা এবং কুয়াশাকে উপেক্ষা করেই চা-বাগানের ফ্যাক্টরি গেটে হাজির হন শ্রমিকরা। বক্তব্য রাখেন চা-শ্রমিক নেতারা। চা-বাগান তৃণমূল কংগ্রেস মজদুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি মোহন শর্মা সহ চা-বলয়ের পরিচিত নেতা অসীম মজুমদার, প্রভাত মুখার্জিরাও আলিপুরদুয়ার জেলা সহ মালবাজার মহকুমার চা-বাগানগুলিতে ছিলেন। মোহন শর্মা বলেন, “ন্যূনতম মজুরির দাবি অবশ্যই রয়েছে আমাদের। তবে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার, প্রতিবেশি রাজ্য আসামেও বিজেপি সরকার। অসমেই দেশের মধ্যে সর্বাধিক চা-বাগান। আসামের চা-মালিকরা কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা দেশের অন্যান্য চা-বাগানগুলিতেও দ্রুত নেওয়া হয়। তবে অসমে চা-শ্রমিকদের ভাওতা দিচ্ছে সেখানকার সরকার। অসমে ন্যূনতম মজুরি লাগু হলে আমাদের পক্ষেও সুবিধা হবে। একটি শিল্পে যখন ন্যূনতম মজুরি লাগু হয় তখন দেশের সবস্থানে একই মজুরি হবার কথা। আমরা চা- শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা বোঝাবো।”

অসীম মজুমদার বলেন, “বিরোধিরা শ্রমিকদের মিথ্যা কথা বলে ভুল বোঝাতে পারে। সেই সুয়োগ আমরা দেব না। চা-শ্রমিকরা যেন ৬০বছর বয়সে অবসর নিতে পারে সেই দাবি আর একবার চা মালিকদের কাছে রাখলাম আমরা।”স্টাফ, সাব-স্টাফদের বেতন কাঠামো পরিবর্তনের মৌলিক দাবিটিও এদিন আর তীব্র হয়েছে উত্তরবঙ্গের চা বাগানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *