তৃণমূল জেহাদিদের হাতে রাজ্যকে ছেড়ে দিয়েছে, আজ ট্রেলার দেখলাম, আগামীতে গোটা বাংলায় এরকম হবে : সুকান্ত মজুমদার

আমাদের ভারত, ৫ জানুয়ারি: দুর্নীতি তদন্তে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়ে রক্তাক্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। মার খেয়েছেন কেন্দ্রীয় জওয়ান থেকে শুরু করে সাংবাদিকরা। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো পরিস্থিতি। অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছি। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে শায়েস্তা করেই ছাড়বো। এই ঘটনার কথা তুলে লোকসভা ভোটে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার দাবিও তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

সন্দেশখালির ঘটনায় অবিলম্বে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠিতে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে এনআইএকে তদন্তভার দেওয়া হোক বলে আবেদন জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি সন্দেশখালি এলাকায় মূলত যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানে যাতে স্থানীয় বাসিন্দা এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর আর কোনও হামলা বা আক্রমণ না হয়, তার জন্য এই অঞ্চলে আধা সামরিক বাহিনী বা প্যারা মিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করার কথাও লিখেছেন তিনি।

সুকান্ত মজুমদার তার চিঠিতে একেবারে শেষের দিকে রাজ্যের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে, আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে যা বলেছেন তার উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পরোক্ষে বলেছেন, সাংবিধানিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্য। তিনি প্রশ্ন করেন, রাজ্যপাল কেন রাজ্যের প্রসাশনিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে বলে রিপোর্ট দিচ্ছে না?

সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, সন্দেশখালিতে প্রমাণ হয়ে গেল আমরা ঠিকই বলেছিলাম। ওখানে শাহজাহানের মতো লোকেরা রোহিঙ্গাদের বসিয়ে ভারত বিরোধী একটি শক্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য আছে। আজকে যেটা দেখলাম সেটা ট্রেলার। তৃণমূল কংগ্রেস এই হার্মাদ জেহাদিদের হাতে গোটা রাজ্যকে ছেড়ে দিচ্ছে। আগামী দিনে বাংলার সব জায়গায় এরকম হবে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান রাজ্যসরকার ভারতের আভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠছে। সমস্ত ভারত বিরোধী কাজ পশ্চিমবঙ্গ থেকেই হচ্ছে। এরকম একের পর এক দেখা যাচ্ছে।

সন্দেশখালির ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছে বঙ্গ বিজেপি। তাদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যখন রাজ্যে তদন্ত করতে যায়, তখন তাদের সুরক্ষা প্রদান করা সেই রাজ্যের দায়িত্ব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার উপর বারবার আক্রমণ হয়ে আসছে। কেন্দ্র সরকারি বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে।

বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে বলেছেন, যারা এই ধরনের অবৈধ কাজ করে তৃণমূলে ফান্ডিং করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন বারবার। শেখ শাহজাহান সব রকম রাষ্ট্র বিরোধী কাজের সাথে যুক্ত। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে ক্যাম্প করে রেখেছেন ওখানে। শাজাহান বিজেপির তিনজন কর্মীর হত্যার সঙ্গে যুক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *