“কামিনী কাঞ্চনের মিশেলে রাজ্যে বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে তৃণমূল,” নিয়োগ দুর্নীতিতে টলি অভিনেতাদের নাম জড়ানোয় মন্তব্য সুকান্তর

আমাদের ভারত, ৯ মার্চ: টলিউড মানে কামিনী আর কাঞ্চন মানে হলো অর্থ। আর এই কামিনী ও কাঞ্চনের মিশেলে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে এক বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। এর ফলে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা থাকবে না। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে টলিউডের অভিনেতাদের নাম জড়ানোর প্রসঙ্গে এভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “শোনা যাচ্ছে যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নাকি টলিউডে ব্যবহার হয়েছে। সেই কারণেই অভিনেতাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয়ে এই চক্রে একজন অভিনেতার নামও উঠে এসেছে।” এরপরই তিনি বলেন, টলিউড মানেই তো কামিনী আর কাঞ্চন হলো অর্থ। এই কামিনী ও কাঞ্চনের মিশেলে এমন এক বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে, যে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা ও ভক্তি থাকবে না।”

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে আজ টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে ইডি ডেকে পাঠায়। তার অ্যাকাউন্টে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে বলে জানাগেছে। এছাড়াও আর চার টলিউড অভিনেত্রীর নামও জড়িয়েছে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদের মধ্যে একদুজন রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত বলে শোনা যাচ্ছে।

বনি সেনগুপ্ত বিজেপিতে জয়েন করেছিল। এই প্রসঙ্গ উঠতেই সুকান্ত মজুমদার বলেন, এইরকম প্রচুর ব্যক্তি আসে যায় দলে। কোনো দলের যখন ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা তৈরি হয় তখন সেই দলে অনেকে আসতে চায়। একই সঙ্গে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, মুকুল রায় যখন বিজেপিতে ছিলেন তখন তাকে সিবিআই দুবার ডেকেছিল এখন তিনি তৃণমূলে কিন্তু তাকে সিবিআই একবারও ডাকেনি। অর্থাৎ বিজেপিতে থাকলে সিবিআই ডাকবে না তৃণমূলের এই প্রচার ভুল বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

নিয়োগ দুর্নীতি ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরো বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই তদন্তের বিষয় উষ্মা প্রকাশ করে এবং একে পক্ষ্যপাত দুষ্ট তদন্ত বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। এই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, এই পুরো ঘটনাটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ঘটেছে। তার কথায় এই ধরনের দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। এ তদন্ত থেকে বাঁচতে গিয়ে এরা সিন্ডিকেট করে সিবিআই এবং ইডির তদন্তের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে ইডি এবং সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় গরু পাচার, কয়লা পাচারের মতো যে দুর্নীতি হচ্ছে তার সত্য সামনে আসুক, সেটা কি এই দলগুলো চায় না?নাকি তারা চাইছে যারা দোষী তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হোক? এই প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার।

ডিএ প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, ডিএ চাওয়াটা পাপ? নাকি স্যান্ডো গেঞ্জি পড়ে ঘুষ নেওয়াটা পাপ? সরকারি কর্মচারীরা ডিএ এর দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তার প্রতি বিজেপির নৈতিক সমর্থন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে এটাও স্পষ্ট করেছেন ধর্মঘট সফল করার জন্য কোনো রকম ব্যবস্থা বিজেপি নেবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *