আমাদের ভারত, ২৯ মে: আজ আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে ২৬- এর বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। এই সভা থেকে কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটের প্রচার যুদ্ধ শুরু করলেন মোদী। আর সেই ভোট প্রচারের অন্যতম ইস্যু যে দুর্নীতি হতে চলেছে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে মোদীর বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে। তবে এদিন তাঁর বক্তব্য বিশেষ ভাবে প্রাধান্য পেয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়।
২৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি চলে গেছে। তা নিয়ে চলছে তুমুল আন্দোলন ও বিক্ষোভ। আদালত নতুন করে চাকরি হারাদের পরীক্ষায় বসতে বলেছে। বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের দুর্নীতির জন্যই এই ২৬ হাজারের চাকরি চলে গেছে। আজ রাজ্যে এসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেন, দুর্নীতির প্রভাব পড়ে মধ্যবিত্তের ওপর। এই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে আমরা তা দেখেছি। তৃণমূল সরকারের আমলে হাজার হাজার শিক্ষকদের পরিবারকে অসহায় করে দিয়েছে। এটা শুধু শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্নীতি নয়, রাজ্যের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে বরবাদ করে দিয়েছে। এত বড় পাপ তৃণমূল নেতারা করেছে, কিন্তু আজও তারা নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। উল্টে দেশের আদালতকে দোষী বলছে তৃণমূল নেতারা।
আলিপুরদুয়ারে জনসভায় প্রায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তই রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতি, অরাজকতা, হিংসা, নারী নিরাপত্তা নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মোদী। তবে তাঁর আক্রমণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ও তাকে ঘিরে ঘটে যাওয়া শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি।