আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময়সীমা শেষ হয় গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। আর দলের টিকিট না পেয়ে রাজনৈতিক দলবদল শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ সবং ব্লকে তৃণমূলের বর্ধিত সভায় দলে যোগদান করলেন বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক নির্মল বালা। শুক্রবার মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, প্রাক্তন বিধায়ক গীতা ভুঁইঞা ও সবংয়ের ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্সের উপস্থিতিতে নির্মলবাবুর হাতে দলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতিতে দলের টিকিট না পেয়েই তিনি বিজেপির ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইঞা বক্তব্য রাখতে গিয়ে সবংয়ের সমস্ত দলীয় কর্মী ও নেতাদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন যে, অবাধভাবে মনোনয়ন দাখিল করার সুযোগ পেল, তারপরও তারা সমস্ত আসনে মনোনয়ন করতে পারলো না। বিজেপি ২৪৯ আসনের মধ্যে ১৮১ আসনের মনোনয়ন দিল। ৩৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৩৫ টিতে সিপিআইএম, গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ২৪৯ এর মধ্যে ১৫০ তে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৯ এর মধ্যে ৩৪। এরপরেও বিজেপি সিপিএম যারা মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাচ্ছে, যারা টিভিতে বসে বড় বড় কথা বলছে, যারা বাংলার সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জিকে গালমন্দ করছেন, অবাধ স্বাধীনতার পরে তারা মনোনয়ন করতে পারেনি সমস্ত আসনে।
আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জি বলেছিলেন, বিরোধী দল মর্যাদার সঙ্গে মনোনয়ন করছে সবংয়ের মাটিতে তা প্রমাণিত হয়েছে। আমি সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং আঞ্চলিক নেতৃত্বকে অনুরোধ করবো, মানুষের কাছে পৌঁছে যান। আমাদের নেতা, নেত্রী এবং উন্নয়নের কথা বলুন। সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলিতভাবে আসন দিয়েছে সেটা আপনারা বুঝতে পারছেন এলাকাভিত্তিক। আপনাদেরক বাম, কংগ্রেস, বিজেপির দিকে লক্ষ্য রাখাতে হবে। সমস্ত আসনে আমাদের জিতে আসতে হবে, আজকের সভা থেকে সবাইকে একজোট হয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সিপিএম, বিজেপি বহু চক্রান্ত করবে সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করবে, আপনাদের সজাগ থেকে মোকাবিলা করতে হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, সব রকম উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে গেলে এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে গেলে পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ আমাদের প্রার্থীদের জয় লাভ করাতে হবে। কারণ বিজেপি চক্রান্ত করছে সমস্ত উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়ে গরিব মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। আজকের এই দলীয় সভায় সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস কে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। আজকের এই সভায় ২৪৯ জন পঞ্চায়েত সদস্য, ৩৯টি পঞ্চায়েত সমিতি, ৩টি জেলা পরিষদ সদস্য উপস্থিত হয়ে তাদের উচ্চ পদস্থ নেতৃত্বদের থেকে শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও আশীর্বাদ নিয়ে তারা ফিরে যান লড়াইয়ের ময়দানে।