মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে খড়গপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, যুব সভাপতিকে মারধর

জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ৬ ডিসেম্বর:
মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার সমর্থনে সভা করার অপরাধে জেলা তৃণমূল  মুখপাত্র দেবাশীষ চৌধুরীর হাতে মার খেলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি সহ কয়েকজন যুব কর্মী।

সোমবার মেদিনীপুর শহরের কলিজিয়েট স্কুল মাঠের জনসভা থেকেই ২০২১–য়ের নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে চলেছেন মূখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই সভার চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ব্যস্ত জেলা তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর এই জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়া তৃণমূল কতটা ঐক্যবদ্ধ সেটা প্রমান করাই আসল উদ্দেশ্যে দলের। কিন্তু সেই সভার প্রচারকে ঘিরে সেই জেলারই খড়গপুর শহরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি এবং ধাক্কাধাক্কি প্রমাণ করে তৃনমূল আছে তৃণমূলেই।

শনিবার খড়গপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খড়গপুর শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের একটি প্রচার সভাকে ঘিরে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং হাতাহাতিতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার বিকালে খড়গপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মূখ্যমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি প্রচার সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভার মূল আয়োজক ছিলেন ওই ওয়ার্ডের যুব সভাপতি অতনু রায় চৌধুরী। এই ৯নম্বর ওয়ার্ডেই থাকেন খড়গপুর শহরের বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা এবং জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস চৌধুরী ওরফে মুনমুন। তিনি খড়গপুর পৌরসভার ১৭নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর। শহরের যুব তৃণমূলের অভিযোগ, কেন মুনমুনকে না জানিয়ে এই প্রচার সভার আয়োজন, কেন তাঁকে এই প্রচার কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেনl এরপর প্রচার সভায় চড়াও হন তিনি এবং মাইক খুলে দেন। অতনুর গায়েও তিনি হাত তোলেন।

শহর যুব তৃণমূল সভাপতি অসিত পাল জানান, ‘ ওই প্রচারে আমন্ত্রিত ছিলাম। ওটা মাদার সংগঠনের কর্মসূচি ছিল না, ছিল যুবর। আমি সেই সভাতে যাওয়ার আগেই খবর পাই যে মুনমুনদা এবং তার লোকেরা ওখানে সভা করতে বাধা দিয়েছে। খবর পেয়ে আমি ওখানে যাই কিন্তু আমার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছেন উনি। এমনকি আমাদের ছেলেদের মারধর করেছেন।”

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মুনমুন বা দেবাশিস চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সামান্য কিছু সমস্যা হয়েছিল। শ্লোগান পাল্টা শ্লোগান হয়েছে। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।“ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘আমি শুনেছি ঘটনাটি। দুপক্ষকে নিয়ে আজই আলোচনা করব।” গোটা ঘটনায় ফের একবার প্রকাশ্যে চলে এলো খড়গপুর শহরে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *