পঞ্চায়েত অফিসের রেজিস্টার খাতায় সই না  করায় বৈঠক থেকে বিজেপিকে বের করে দিল  তৃণমূল, বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২২ সেপ্টেম্বর:
পঞ্চায়েত অফিসে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেয় বিডিও।রেজিস্টার খাতায় সই না করায় বিজেপি সদস্যদের 
পঞ্চায়েত সমিতির সাধারণ সভা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল 
সদস্যদের বিরূদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে 
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা 
পঞ্চায়েত অফিসে। বিডিওর প্রক্ষপাতিত্বের 
অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি সদস্যরা।যদিও বাগদার বিডিও জ্যোতিপ্রকাশ হালাদার তাঁর বিরুদ্ধেতোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  

বিজেপির অভিযোগ, এদিন বিডিও একটি বৈঠকের ডাকদেন। তবে কি কারণে এই বৈঠক জানতে চাইলে তৃণমূল সদস্যদের সঙ্গে বচসা বাধে। এরপর বিজেপি সদস্যরা 
বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে, তৃণমূল 
সদস্যরা বিজেপি সদস্য ও 
সদস্যাদের বৈঠক থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।এর প্রতিবাদে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিডিওর বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি সদস্যরা।

পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, 
গত দুই বছর ধরে বিজেপি সদস্যদের সামনে রেখে 
বাগদার মানুষের করোনার ত্রাণ, আমফানের টাকা সহ 
প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে প্রতারণা করেছে তৃণমূলপঞ্চায়েত সহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।এমনকি পানীয় জলের টিউবওয়েল বিতরণে অনিয়ম
করেছেন বিডিও।সর্বদলীয় বৈঠকের নাম করে এই বিডিও সাহেবের 
পক্ষপাতিত্বে তৃণমূল সদস্যরা সর্বস্য লুট করছে।সাধারণ মানুষের ক্ষতিপূরণের টাকা নিজেরা ভাগ 
বাটোয়ারা করে নিয়েছে।বারবার বিজেপি সদস্যদের বৈঠকে ডেকে সই করিয়ে
নিয়ে, বিডিও সাহেবের সাহায্যে কাটমানি খেয়েছে 
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদাস্যরা। অভিযোগ অস্বীকার করে 
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় বলেন, রেজিস্টারখাতায় সই না করে বৈঠকে বসতে গেলে তৃণমূল 
সদস্যদের সঙ্গে বচসা বাধে।তারপরই বিজেপি সদস্য ও সদস্যারা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়েআসে। 

বাগদার বিডিও জ্যোতিপ্রকাশ হালদার বলেন, সর্বদলীয় 
বৈঠক ডাকা হয়েছিল। অযথা দুই দলের সদস্যরা 
ঝামেলা করে। পঞ্চায়েত সমিতির 
সাধারণ সভা থেকে ওয়াক আউট করল পঞ্চায়েত 
সমিতির বিজেপির সদস্যরা।আমি বাইরে তাদের বোঝাতে গেলে তারা আমার কথা 
শোনেনি।  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *