পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২ সেপ্টেম্বর: ভুতুড়ে কান্ড বালুরঘাট শহরে। থানার দ্বারস্থ তৃণমূল কাউন্সিলর। শনিবার এমনই এক ঘটনা সামনে আসতেই তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বালুরঘাট শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে।
এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর শিপ্রা খাঁয়ের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই ওয়ার্ডের কমিউনিটি হলের কখনো তালা ভাঙ্গছে, আবার কখনো টিউবওয়েল ভাঙ্গছে। তবে সে ঘটনা যে চোরেদের নয়, তাও একপ্রকার তিনি নিশ্চিত করেছেন। গত এক সপ্তাহে দু’ দুবার ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শহরের নারায়ণপুর এলাকায়। খোদ পুর কাউন্সিলরের জনসংযোগস্থল কমিউনিটি হলেই এই ঘটনা কেন বারবার ঘটছে তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যেই। যদিও এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে বালুরঘাট থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর শিপ্রা খাঁ। তবে এই ঘটনা নিজেদের দলীয় কোন্দল বলেই ব্যাখ্যা করেছে বিজেপি।
জানা যায়, বালুরঘাট শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণপুর এলাকায় একটি কমিউনিটি হল রয়েছে। যেখানে সন্ধে হলেই ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে জনসংযোগ করবার জন্য বসেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর শিপ্রা খাঁ। অভিযোগ, সেই কমিউনিটি হলেই বিগত এক সপ্তাহ ধরে ঘটে চলেছে নানা ভুতুড়ে কান্ড। কখনও কমিউনিটি হলের গেটের তালা ভেঙ্গে পড়ে থাকছে, কখনো আবার টিউবয়েল ভেঙ্গে পড়ে থাকছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে ঘটে চলা এমন সব ভুতুড়ে কান্ড নিয়ে সরাসরি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। তার অবশ্য দাবি, এ ঘটনা চোরেদের নয়। তবে কারা করছে এমন ঘটনা? যা নিয়ে যথেষ্টই গুঞ্জন ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, নির্বাচিত হবার পর থেকেই এলাকায় তেমনভাবে দেখা মেলেনি ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ডের একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে তাকে রাখা হলেও অধিকাংশ অনুষ্ঠানেই গরহাজির থেকেছেন তিনি বলেও সূত্রের খবর। যা নিয়েই রীতিমতো ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ওই ওয়ার্ডে। এখানেই শেষ নয়, কাউন্সিলরের কর্মকান্ড নিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের একাংশের মধ্যেও চাপা ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আর যার জেরেই এমন ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের সাথে জনসংযোগ করা তো দূরের কথা পাশ্ববর্তী ক্লাবের সামাজিক অনুষ্ঠানেও হাজির হন না তিনি। যার কারণে অনেকেই অসন্তুষ্ট ওই কাউন্সিলরের প্রতি। তবে এই ঘটনা কারা করেছে তা তার জানা নেই।
বিজেপি নেতা সুমন বর্মন বলেন, শহরের কাউন্সিলররা বেশি কাটমানি তোলাতেই ব্যস্ত। জনসংযোগ নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এ ঘটনা তাদের নিজেদের দলীয় কোন্দল ছাড়া অন্যকিছুই নয়।
তৃণমূল কাউন্সিলর শিপ্রা খাঁ বলেন, গত এক সপ্তাহে দুটি ঘটনা ঘটেছে। কারা করেছে এই ঘটনা তা তিনি জানেন না। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক এই ঘটনার পিছনে কারা জড়িত রয়েছে।
বালুরঘাট থানার আইসি জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।