আমাদের ভারত, ৭ ডিসেম্বর: ভবিষ্যতের চোরেদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস আদর্শ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ঢাকি সমেত বিসর্জনের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্য সরকারের বিন্দুমাত্র লজ্জা বলে কিছু নেই, এটা রাজ্যবাসীর দুর্ভাগ্য। আদালতের যা পর্যবেক্ষণ সামনে আছে তাতে মনে হচ্ছে ওয়েবসাইটেই কোনো কারচুপি করা হয়েছিল। রোল নাম্বার পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়েছিল বলেও তথ্য সামনে উঠে আসছে। রাজ্য সরকার তথা শাসক দল দুর্নীতিকে একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। চুরি যে এতো নৈপূণ্যতার সঙ্গে করা সম্ভব তা তৃণমূল কংগ্রেসের থেকেই শিখতে হয়। ভবিষ্যতের চোরেদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস আদর্শ।”
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,
“দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও যারা বেআইনিভাবি চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরিতে বহাল রাখার বিষয়টি এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি ওয়েবসাইটে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে এসেছে তা বাইরের লোকের পক্ষে করা অসম্ভব। শিক্ষা মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ তথা পরামর্শ মেনে জেনে শুনে বেনিয়ম করেছেন শিক্ষা দপ্তরে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার কথায়, “আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেবো।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “যেদিন ২০১৪ -র প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে গড়া ২০১৬ -র পুরো প্যানেল বাতিল করব সেদিন ঢাকি সমেত বিসর্জন মানে বলবো।মানিক ভট্টাচার্য পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা নেই বলে চাকরি পায়নি মামলাকারীরা।” মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৬ -র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরির আবেদন জানিয়ে মামলা করেন ১৪০ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থী। তাদের দাবি, সেই সময়কার নিয়ম অনুযায়ী অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগ করা যেত। প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। মামলাকারীদের আরও দাবি, সম্প্রতি আদালতের নির্দেশের নম্বর বিভাজন সহ তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে যে তাদের থেকেও কম নম্বর পেয়ে অনেক বেশি অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশ পত্র পেয়েছেন।