আমাদের ভারত, ৭ সেপ্টেম্বর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। ঘটনাটি মালালার চাঁচলে ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “অশিক্ষা, বর্বরতা ও ঔদ্ধত্য কোন চরম সীমায় পৌঁছালে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটতে পারে!”
একটি বিক্ষোভ সমাবেশে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীর ছবির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ানোর চেষ্টা করছেন একদল বিক্ষোভকারী, এমনিই একটি ভিডিও তিনি পোস্ট করেছেন। ঘটনার একটি ছবি ও ভিডিওটি পোস্ট করে তিনি কড়া ভাষায় এর নিন্দা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “মালদহের চাঁচল কলেজ প্রাঙ্গণে এক টিএমসিপি নেতা প্রকাশ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এ দৃশ্য শুধু গোটা বাঙালি সমাজকে মর্মাহতই করে না, বরং মাথা নত করে দেয়।”
এই ঘটনায় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে এনে আক্রমণ শানিয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তথাকথিত ‘ভাষা আন্দোলন’-এর নামে যেসব ভণ্ডামির নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে, মালদহের এই ঘটনাও তারই জঘন্য বহিঃপ্রকাশ। কবিগুরুর ছবি দাহ করার অপচেষ্টার মতো নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডকে যদি প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দাঁড় করানো হয়, তবে সেটি বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছু নয়।”
তিনি দাবি করেছেন, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ছবি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টার মতো দুঃসাহস যাদের মধ্যে জাগে, তাদের বাংলা প্রেমের দাবিই ভণ্ডামি। এমন ঘৃণ্য কাজ যারা করে, তাদের বাঙালি পরিচয় দেওয়া নিজেই বাংলার অপমান।” একই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় যুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ-প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব হলো এদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা।”